সাভারে বন্ধ থাকা গবাদিপশুর খাবার তৈরির কারখানা চালুর নির্দেশ

ঢাকার সাভারে গবাদিপশুর খাবার তৈরির কারখানা পরিদর্শন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। আজ বৃহস্পতিবার সকালেছবি: প্রথম আলো

ঢাকার সাভারে উদ্বোধনের পর থেকে প্রায় দুই বছর ধরে বন্ধ থাকা গবাদিপশুর জন্য পুষ্টিকর খাবার তৈরির কারখানা টোটাল মিক্সড রেশন (টিএমআর) চালুর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে কারখানাটি পরিদর্শন করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এ নির্দেশ দেন।

কারখানা পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা টিএমআর-এর বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানিয়েছেন। বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার পর তাঁদের এটি দ্রুত চালুর বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সাভারের কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের কর্মকর্তারা জানান, আজ সকাল ৯টার দিকে সাভারে টিএমআর পরিদর্শনে আসেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। এ সময় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপদেষ্টা ফরিদা আখতারকে কারখানাটির বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও স্থাপনা সম্পর্কে অবহিত করেন। কর্মকর্তারা কারখানা চালুর জন্য পর্যাপ্ত জনবলের অভাবের বিষয়টি জানান। পরে ফরিদা আখতার কারখানাটি ঘুরে দেখে কর্মকর্তাদের কারখানাটি চালুর বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন।

কর্মকর্তারা আরও জানান, কারখানাটি পরিচালনার জন্য লোকবল নেই। এটি পরিচালনার জন্য মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার, ইলেকট্রনিকাল ইঞ্জিনিয়ার, লাইসেন্সপ্রাপ্ত বয়লার অপারেটরসহ দক্ষ জনবল প্রয়োজন। কারখানাটি চালুর জন্য আলাদা করে বিদ্যুতের সংযোগ নিতে হবে। এসব বিষয় উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরা হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (উৎপাদন) এ বি এম খালেদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘মূলত জনবলের অভাব এখানে মূল সমস্যা। আমরা চেষ্টা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যা সমাধান করে কারখানাটি চালু করার।’

২০২৩ সালের ১৯ জানুয়ারি গবাদিপশুর খাবার তৈরির সরকারি এ কারখানাটি উদ্বোধন করা হয়েছিল। উদ্বোধনের পর কারখানাটি চলছিল ওই এক দিনই। কারখানাটির জন্য ইতিমধ্যে ব্যয় হয়েছে ৩৩ কোটি টাকা। এটি নির্মাণ করেছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। ব্যয় করা হয়েছে কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম ও ভ্রূণ স্থানান্তর প্রযুক্তি বাস্তবায়ন (এআইইটি) প্রকল্পের (তৃতীয় পর্যায়) অধীনে। এই কারখানার জন্য আধুনিক ভবন করা হয়েছে, জার্মানপ্রযুক্তির যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে। কিন্তু কারখানা চালানোর জন্য কোনো শ্রমিক, কারিগরি কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে গত শনিবার প্রথম আলো ছাপা পত্রিকায় ‘করের টাকা অপব্যয়ের আরেক উদাহরণ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

আরও পড়ুন