চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৪
ছাত্রাবাসের আসন বরাদ্দের জেরে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীদের একটি পক্ষের সঙ্গে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রতিষ্ঠানের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ভাঙচুর চালানো হয়। এ ঘটনায় চারজন আহতের খবর পাওয়া গেছে। ঘটনার পর আশপাশে পুলিশের সতর্ক অবস্থান ছিল।
শিক্ষার্থীদের পক্ষটির দাবি, ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা প্রতিষ্ঠানের ভেতরে ঢুকে তাঁদের ওপর হামলা করেন। ছাত্রদলের দাবি, ছাত্রশিবিরের কর্মীরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছেন।
এ ঘটনায় আহত চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আনা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে চমেক পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী ইনচার্জ সোহেল রানা। তবে আহতদের বিস্তারিত নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে দুই দিন ধরে ছাত্রাবাসে আসন বরাদ্দের বৈধ তালিকা প্রকাশ নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভের পর গতকাল বুধবার বেলা তিনটার দিকে তালিকা প্রকাশ করে প্রশাসন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ছাত্রাবাসে আধিপত্য বিস্তার করতে ছাত্রদল নিজেরাই আসন চেয়েছিল। তবে সেটি না হওয়ায় তারা ছাত্রদের ওপর হামলা করে।
ইনস্টিটিউটের পুরকৌশল বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী আল আমিন ভূঁইয়া বলেন, ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা ইনস্টিটিউটে ঢুকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেন। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোহাম্মদ হানিফ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আসন বরাদ্দ নিয়ে অনিয়মের প্রতিবাদ করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। হেলমেট পরে শিবির শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে।’
ছাত্রদলের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চট্টগ্রাম নগর (উত্তর) ছাত্রশিবিরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে, ‘দুই বছরের বেশি সময় ধরে সেখানে আমাদের কমিটি নেই। যেহেতু পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ, তাই আমরা কমিটি দিইনি। শুনেছি, ছাত্রদলের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হাতাহাতি হয়েছে।’
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) কাজী মো. তারেক আজিজ প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বহিরাগতদের হাতাহাতি হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।