আমরা কোনোভাবেই চাই না আন্দোলনে আহতদের প্রতি গাফিলতি হোক: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের প্রতি আমাদের ঋণ অনেক বেশি। তাঁদের প্রতি কোনো গাফিলতি হোক, এটা আমরা কোনোভাবেই চাই না।’
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার সাভারে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন ফরিদা আখতার।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের দাবি, তাঁরা যে শুধু চিকিৎসা চাচ্ছেন তা নয়, তাঁদের মধ্যে এমনও অনেকে আছেন, যাঁরা পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষ ছিলেন। তাঁদের পরিবারগুলো, এমনকি কেউ কেউ আছেন যাঁরা ঋণ নিয়েছিলেন; ঋণের কিস্তির জন্য লোকজন তাঁদের বাড়িতে এসে বসে থাকেন। কিন্তু তাঁরা এখন সে টাকা কোথায় পাবেন? এ অবস্থায় আহত ব্যক্তিরা তাঁদের পুনর্বাসন চাচ্ছেন। আমরা মনে করি, এটি খুবই যৌক্তিক একটি দাবি। তাঁদের প্রতি আমাদের ঋণ অনেক বেশি। আহতদের প্রতি কোনো গাফিলতি হোক, এটা আমরা কোনোভাবেই চাই না।’
ফরিদা আখতার বলেন, ‘আমাদের প্রথমে মাথায় রাখতে হবে যে এই অন্তর্বর্তী সরকার বা এই যে আমরা একটা বিপ্লব পেলাম বা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে একটা জয় হলো, এর মধ্য দিয়ে আমরা একটা নতুন বাংলাদেশ পেলাম। এতে যেমন শহীদদের অবদান আছে, তেমনি যাঁরা এখনো আহত হয়ে পঙ্গু হাসপাতাল, চক্ষু হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তাঁদেরও অবদান আছে।’
ফরিদা আখতার আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়, সরকারের একান্ত চেষ্টা ছিল সঠিক চিকিৎসা দেওয়ার। কিন্তু তাঁদের (আহতদের) মনে একটা ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। আমরা মনে করি যে আমাদের তাঁদের দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি দেখা দরকার। নিশ্চয়ই কোনো ভুলত্রুটি আমাদের দিক থেকে হয়েছে। আমি একেবারেই বলব না যে হয়নি।’
এর আগে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাকিলা ফারুক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শাহীনা ফেরদৌসী।