ফরিদপুরে বাসচালক শামসু নিহতের ঘটনায় মামলা, ওবায়দুল কাদেরসহ আসামি ৪০০

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের
ফাইল ছবি

ফরিদপুরে বাসচালক শামসু মোল্লাকে (৬২) হত্যার ঘটনায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলটির ৩০০ থেকে ৪০০ নেতা-কর্মীকে আসামি করে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে নিহত শামসু মোল্লার স্ত্রী মেঘলা বেগম (৩১) বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বলেন, এ মামলার এজাহারে আসামি হিসেবে শুধু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁকে করা হয়েছে হুকুমের আসামি। এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও শ্রমিক লীগের ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খায়রুল বাশার বলেন, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আসামি শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে আজ বেলা তিনটা পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিকেল পাঁচটার দিকে একদল মানুষ ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা ঘেরাও করতে যান। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও গুলি ছুড়ে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলাকালে গুলিতে নিহত হন পথচারী শামসু মোল্লা। গুলিটি তাঁর নাক ও ঠোঁটের মাঝ দিয়ে ঢুকে মাথার পেছন দিয়ে বের হয়ে যায়।

নিহত শামসু মোল্লা ফরিদপুরের করিম গ্রুপের মালিকানাধীন গোল্ডেন লাইন পরিবহনের বাসচালক ছিলেন। তিনি শহরের পূর্ব খাবাসপুর মহল্লা এলাকার বাসিন্দা মৃত মোবারক মোল্লার ছেলে। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তালাক হয়ে যাওয়ার পর তিনি ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার মেঘলা বেগমকে বিয়ে করেন। শামসু-মেঘলা দম্পতির ছয় বছরের এক মেয়ে রয়েছে।