ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই শিশুসহ মায়ের মৃত্যু নিয়ে রহস্য
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই শিশুসন্তানসহ এক মায়ের ‘আত্মহত্যা’ নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার ঘাটুরা সরকারবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে ওই গৃহবধূর স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছেন।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন সদর উপজেলার ঘাটুরা সরকারবাড়ি এলাকার আশরাফ মিয়ার স্ত্রী শারমিন আক্তার (২৪), তাঁর দুই শিশু মেয়ে রওজা আক্তার (৫) ও নওরিন আক্তার (৩)। শারমিন জেলার বিজয়নগর উপজেলার ইসলামপুরের শশই এলাকার কবির মিয়ার মেয়ে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ছয় বছর আগে শারমিনের সঙ্গে আশরাফের বিয়ে হয়। আজ বেলা ১১টার দিকে শারমিনকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন আশরাফ। পরে আশরাফের স্বজনেরা দুই শিশুকে নিয়ে হাসপাতালে আসেন। তাঁদের সংসার ভালো চলছিল। কিন্তু কী কারণে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে, ওই গৃহবধূর বাবার পরিবারের কাছে তা রহস্যজনক মনে হচ্ছে।
২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রিয়াজ উদ্দিন জানান, বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রথমে বিষ খাওয়া অবস্থায় এক গৃহবধূকে আনা হয়। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি দেওয়া হয়। এর কিছু পর ওই গৃহবধূর দুই শিশুসন্তানকে আনা হয়। পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে তাদের মৃত পাওয়া যায়। কিছুক্ষণ পর মাও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্সরা জানান, স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে আশরাফ হাসপাতালে আসেন। তাঁর সঙ্গে থাকা স্বজনেরা জানিয়েছেন স্ত্রী, তাঁর দুই সন্তানকে বিষ পান করিয়ে নিজে বিষ পান করেন। তবে কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে, তাঁরা বলতে পারেননি। তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর স্বামীসহ অন্যরা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান।
শারমিনের মা রেজিয়া খাতুন জানান, তাঁর মেয়ে ও শিশুসন্তানদের মৃত্যুর বিষয়টি রহস্যজনক। এ ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি জানান তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তানভির আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই তিনজনের লাশ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। শারমিনের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে স্বামীসহ কাউকে পাওয়া যায়নি। শারমিনের বাবা কবির মিয়া থানায় এসেছেন। তাঁর কাছ থেকে আমরা ঘটনার জন্য চেষ্টা করছি।’