কুমিল্লা-৯ আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানকে মারধর
কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করায় গোলাম সরওয়ার মজুমদার নামের সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যানকে মারধর করা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দপ্তরের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভুক্তভোগী গোলাম সরওয়ার মজুমদার মনোহরগঞ্জ উপজেলার সরসপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান এবং উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক। মারধরের ঘটনায় তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দেওয়া লিখিত অভিযোগে গোলাম সরওয়ার মজুমদার উল্লেখ করেন, আজ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে তিনি নির্বাচন অফিসের সামনের সড়কে এলে কিছু লোক তাঁর ওপর আকস্মিক হামলা করেন। তাঁর সঙ্গে থাকা কয়েকজন কর্মীকেও মারধর করেন। এমনকি তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করতে গেলে হত্যা করা হবে হুমকি দেন। তাঁরা গালাগাল করছিলেন আর বলছিলেন, কামাল ও মহব্বতের নির্দেশ ছাড়া কেন মনোনয়নপত্র কিনেছেন তিনি।
এদিকে এ ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা গেছে, মাস্ক পরিহিত এক ব্যক্তি প্রথমে হামলা করেন। পরে আরও কয়েকজন মিলে গোলাম সরওয়ার মজুমদারকে কিল–ঘুষি মারেন।
গোলাম সরওয়ার মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের শ্যালক ও লাকসাম উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মহব্বত আলী এবং মন্ত্রীর উন্নয়ন সমন্বয়কারী কামাল হোসেনের নির্দেশে আমার ওপর হামলা করা হয়।’
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে লাকসাম উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মহব্বত আলী বলেন, ‘আমি কেন নির্দেশ দেব? কারা তাঁকে মারধর করেছেন, আমি জানি না। কে কখন মনোনয়নপত্র নিয়েছেন জানি না।’ কামাল হোসেন বলেন, ‘অহেতুক আমার নাম জড়ানো হচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত না।’
রিটার্নিং কর্মকর্তা খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান বলেন, মনোনয়নপত্র নেওয়া এক ব্যক্তির ওপর হামলার একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।