পায়রা বন্দরের বরাদ্দের টাকার শতভাগ সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পায়রা বন্দর পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন
ছবি: প্রথম আলো

নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, দেশের অর্থনীতির জন্য পায়রা একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর। বন্দরের কাজ যেন আরও ত্বরান্বিত হয় এবং প্রকল্পের বরাদ্দের টাকা যেন শতভাগ সদ্ব্যবহার করা হয়, তা নিশ্চিত করা হবে। তবে বিশ্বের কোনো বন্দর রাতারাতি প্রতিষ্ঠা হয়নি, সে জন্য সময় দিতে হবে।

আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় পায়রা সমুদ্রবন্দরের উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি জানান, ইতিমধ্যে বন্দরের ক্যাপিটাল ড্রেজিং শেষ হয়েছে। মেনটেন্যান্স ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে চ্যানেলের নাব্যতা বজায় রেখে বন্দরকে সচল রাখা হবে।

উপদেষ্টা বলেন, বন্দরটিকে লাভজনক করতে হলে যোগাযোগব্যবস্থার (কানেক্টিভিটি) উন্নয়ন করতে হবে। বিশেষ করে চার লেনের রাস্তা ও রেললাইনের কাজ দ্রুত শুরু করতে হবে। এ ছাড়া দেশের আমদানি পণ্যের কিছু অংশ এই বন্দর ব্যবহার করে আনার ব্যবস্থা করতে পারলে এ বন্দর সচল হবে; পাশাপাশি বন্দরের আয়ও বাড়বে আর অন্য বন্দরগুলোর ওপর থেকেও চাপ কমবে।

এ সময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব (ভারপ্রাপ্ত) সঞ্জয় কুমার বণিক, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী, সদস্য ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন, প্রকল্প পরিচালক ও হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন এস এম শরিফুর রহমানসহ বন্দরের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে নৌপরিবহন উপদেষ্টা গতকাল রোববার বিকেলে পায়রা বন্দরে পৌঁছান এবং বন্দরের চলমান প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রশাসনিক শাখা সূত্রে জানা গেছে, পায়রা বন্দর প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত বন্দরে ২ হাজার ৮০২টি দেশি-বিদেশি জাহাজ ভিড়েছে। এতে বন্দরের ১ হাজার ৫০৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা আয় হয়েছে।