কুমিল্লার গণসমাবেশের প্রচারে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সাবেক মেয়র মনিরুল
কুমিল্লায় ২৬ নভেম্বর বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করতে প্রচারে নেমেছেন সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মনিরুল হক ওরফে সাক্কু। বিএনপি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কৃত এই নেতা আজ সোমবার সন্ধ্যায় নগরের বিভিন্ন এলাকায় গণসমাবেশের লিফলেট বিতরণ করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে বিপুলসংখ্যক নেতা–কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ জুন অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। কিন্তু মনিরুল হক দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেন। ১৯ মে তাঁর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হলে ওই দিন বিকেলে তিনি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ করেন। একই দিন সন্ধ্যায় তাঁকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করে বিএনপি। একই সঙ্গে দলের নেতা–কর্মীদের তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে নিষেধ করা হয়। নির্বাচনে মনিরুল হক আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের কাছে ৩৪৩ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। ২০১১ সালের ১০ জুলাই কুমিল্লা সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠা হয়। এরপর টানা দুই মেয়াদে সিটি করপোরেশনের মেয়র ছিলেন মনিরুল হক।
মনিরুল হকের ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচনের পর মনিরুল হক কিছুদিন মেয়ের কাছে কানাডায় গিয়ে থাকেন। এরপর দেশে এসে দলীয় নেতা–কর্মীদের নিয়ে বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। গত কয়েক দিন তিনি কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন। এরই মধ্যে তিন দিন ধরে তিনি কুমিল্লায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেন। বিভিন্ন এলাকায় প্রচারপত্র বিলি করেন।
আজ সন্ধ্যা ছয়টায় নগরের নজরুল অ্যাভিনিউ সড়কের নজরুল অ্যাভিনিউ সড়কের কান্দিরপাড়, নাসির আর্টিসান এলাকা, ট্রমা সেন্টার, ফরিদা বিদ্যায়তন, আইন কলেজ, মডার্ন স্কুল, রানীরবাজারে প্রচারপত্র বিলি করেন মনিরুল হক। এ সময়ে হ্যান্ডমাইকে ঘোষণা করা হয় ‘সাক্কু ভাইয়ের সালাম নিন, ২৬ নভেম্বরের বিএনপির গণসমাবেশে যোগ দিন’। তাঁকে ঘিরে শত শত নেতা–কর্মী ও সাধারণ মানুষ জড়ো হন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য রফিকুল ইসলাম, নজরুল হক ভূঞা, কুমিল্লা শহর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম, হুমায়ুন কবির, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হোসেন, কুমিল্লা মহানগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদরুল হাসান রাব্বু প্রমুখ।
জানতে চাইলে মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘কুমিল্লায় আদি বিএনপি আমি, আমাদের পরিবার। আমি বিএনপি করি। দল আমারে বহিষ্কার করলেও আমি দল ছাড়িনি। দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমাকে মাঠে কাজ করতে বলেছেন। সে জন্য কাজ করে যাচ্ছি। ২৬ নভেম্বরের গণসমাবেশে হাজার হাজার লোক নিয়ে যাব। আমি বিএনপিতে আছি, বিএনপিতে থাকব।’