কেরানীগঞ্জে সিন্ডিকেট ভাঙতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ‘বিনা লাভের বাজার’

ঢাকার কেরানীগঞ্জে ‘বিনা লাভের বাজার’ বসিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতাছবি: প্রথম আলো

ঢাকার কেরানীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতা সিন্ডিকেট ভাঙতে ‘বিনা লাভের বাজার’ কার্যক্রম শুরু করেছে। আজ শুক্রবার সকাল আটটা থেকে কেরানীগঞ্জের কদমতলী গোলচত্বর ও আগানগর এলাকায় বিনা লাভের বাজার বসানো হয়। দুপুর পর্যন্ত চলে এই বেচাকেনা।

সরেজমিনে দেখা যায়, কদমতলী এলাকায় দুটি ভ্যানের ওপর রাখা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি। এর মধ্যে আকারভেদে লাউ ৩০-৪০ টাকা, প্রতি কেজি আলু ৬৫, প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১১০, কাঁচা মরিচ ১২০, শসা ৫০, ঝিঙে ৪৭ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, করলা ৪৫ টাকা, একটি লেবু ৫ টাকা ও প্রতি আঁটি মুলাশাক ও ডাঁটাশাক ১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। ক্রেতারা ভিড় করে সেখান থেকে এসব শাকসবজি কিনছেন।

বাজার করতে আসা রিকশাচালক সামাদ মিয়া বলেন, ‘ডাঁটাশাকের আঁটি বাজারে দাম ৩০ টাকা। এখান থেকে ১০ টাকায় কিনছি। এর পাশাপাশি আলু, পেঁয়াজ ও মরিচ কিনছি। সবকিছুর দাম বাজার থেকে অনেক কম।’

সায়েদা বেগম নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে সব ধরনের পণ্যের দামে ঊর্ধ্বগতি। তাই পণ্য কিনতে হিমশিম খেতে হয়। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীরা উদ্যোগ নিয়ে বিনা লাভের বাজারের মাধ্যমে কম দামে জিনিস বিক্রি করছে। এতে অনেকেই উপকৃত হবে। এমন বাজার নিয়মিত বসলে আমরা অনেক স্বস্তি পাব।’

বিক্রয়ের দায়িত্বে থাকা মো. আল আমিন বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা সিন্ডিকেট গড়ে তুলে বাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। বাজার সিন্ডিকেট ভাঙার অংশ হিসেবে আমরা বিনা লাভের বাজার কার্যক্রম শুরু করেছি। যে লাউ বাজারে ৮০ টাকায় বিক্রি করা হয়, সেই আকারের লাউ আমরা ৫০ টাকায় বিক্রি করছি। একইভাবে অন্যান্য পণ্য আমরা বাজারের তুলনায় কম দামে বিক্রি করছি। এতে মানুষ উপকৃত হচ্ছে।’