শিক্ষককে পদত্যাগে ‘বাধ্য করার চেষ্টা’, প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

শিক্ষককে পদত্যাগে বাধ্য করার চেষ্টার প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা সদর দক্ষিণের বেলতলী এলাকা অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। রোববার বিকেলে
ছবি: সংগৃহীত

ভিত্তিহীন অভিযোগে শিক্ষককে পদত্যাগে বাধ্য করার চেষ্টা চলছে, এমন অভিযোগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা সদর দক্ষিণের বেলতলী এলাকা অবরোধ করেছে এক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় ওই শিক্ষককে স্বপদে বহাল রাখার দাবি জানিয়ে পৌনে এক ঘণ্টা মহাসড়কে বিক্ষোভ করে তারা। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা এসে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

রোববার বিকেল পৌনে চারটার দিকে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বেলতলী উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করে। এ সময় মহাসড়কের দুদিকের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন চালক ও যাত্রীরা। কর্মসূচি চলাকালে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অনেক অভিভাবককেও একাত্মতা প্রকাশ করতে দেখা গেছে। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

মহাসড়ক অবরোধ করা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা জানান, বেলতলী উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সালমা আক্তার ২০০৪ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তাঁকে অপসারণের দাবি জানায় এক পক্ষ। নানাভাবে ওই পক্ষ শিক্ষককে অপসারণের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ ওঠে। এর প্রতিবাদে এবং সহকারী প্রধান শিক্ষককে বহাল রাখার দাবিতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা এ কর্মসূচি পালন করেন।

পরে সদর দক্ষিণ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ রেফাঈ আবিদ ও কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রফিকুল ইসলামসহ প্রশাসন ও পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। তাঁরা সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, ‘আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এ বিষয়ে তাঁরাই সিদ্ধান্ত নেবেন।’ তবে শিক্ষক সালমা আক্তারের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা যায়নি।

রোববার রাত আটটার দিকে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধের খবর পেয়ে তাদের বুঝিয়ে দ্রুত বিদ্যালয়ে নিয়ে যান। ইতিমধ্যে মধ্যে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে গেছে।