নওগাঁয় ইউপি কার্যালয়ে চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে জখমের দুই দিনেও মামলা হয়নি
নওগাঁর রানীনগর উপজেলার পারইল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও যুবদল নেতা জাহিদুর রহমানকে তাঁর কার্যালয়ে ঢুকে কুপিয়ে জখমের ঘটনার দুই দিনেও থানায় কোনো মামলা হয়নি। হামলাকারীদের কাউকে আটকও করতে পারেনি পুলিশ।
গত রোববার বেলা ১১টার দিকে হেলমেট ও মাস্ক পরে দুর্বৃত্তরা কার্যালয়ে ঢুকে ইউপি চেয়ারম্যানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। ইউপি চেয়ারম্যান বর্তমানে ঢাকায় জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন।
রানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু ওবায়েদ বলেন, এখন পর্যন্ত হামলার ওই ঘটনায় থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। তবে হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলার এ ঘটনা নিয়ে গত দুই মাসে নওগাঁর রানীনগর ও আত্রাই উপজেলায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর চারটি হামলার ঘটনা ঘটল। এসব ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এর আগে গত ২৬ সেপ্টেম্বর নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় মালিপুকুর বাজার এলাকায় বিএনপির কর্মী ও স্কুলশিক্ষক আবুল হোসেন এবং একই দিন রানীনগর উপজেলার কালিগ্রাম এলাকায় উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেনকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। গত ২৪ অক্টোবর রানীনগর বরগাছা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হানকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটে।
বিএনপির নেতাদের অভিযোগ, চলমান আন্দোলনে বিএনপির নেতা-কর্মীরা যাতে অংশগ্রহণ না করেন, সে জন্য আতঙ্ক সৃষ্টি করতে দলটির নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসনও এ ক্ষেত্রে নীরব ভূমিকা পালন করছে।
নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, পরপর চারটি ঘটনা ঘটল, কিন্তু এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এ ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকলে রানীনগর ও আত্রাই আবারও সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত হবে।
এ বিষয়ে নওগাঁর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে জখমের ঘটনাকে গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। কারা কী উদ্দেশ্যে এই হামলা চালিয়েছে, তা শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এগুলো ব্যক্তিগত রেষারেষি নাকি কোনো সংঘবদ্ধ চক্র স্বার্থ হাসিলের জন্য ঘটিয়ে চলছে, তা উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলছে।