সংসদ সদস্য শফিকুর নেতা–কর্মীদের সম্মানহানি করেছেন: ফরিদগঞ্জ আ.লীগ
একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সরাসরি সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে চাঁদপুর–৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মুহম্মদ শফিকুর রহমান যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে তিনি সরকার ও দলের নেতা–কর্মীদের সম্মানহানি করেছেন। এমন দাবি করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ।
শনিবার রাতে ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল খায়ের পাটওয়ারী ও সাধারণ সম্পাদক আবু সাহেদ সরকারের যৌথ স্বাক্ষরিত এ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। সংসদ সদস্য মুহম্মদ শফিকুর রহমান জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অনুষ্ঠানে মুহম্মদ শফিকুর রহমান ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ, স্থানীয় সরকার নির্বাচন এবং ব্যক্তিগতভাবে অনেকের নাম উল্লেখ করে যেভাবে বক্তব্য দিয়েছেন, তা দুঃখজনক। একজন সংসদ সদস্য এভাবে কথা বলায় পুরো ফরিদগঞ্জবাসী হতাশ।
সংসদ সদস্য নিজেকে বড় দেখাতে গিয়ে দলের, সরকারের, এমনকি দলীয় নেতা–কর্মীদের সম্মানহানি করেছেন। একটি মিথ্যাকে ঢাকতে গিয়ে একের পর এক মিথ্যা তথ্য দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করেছেন। তিনি ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে বিএনপির রাতের ভোটের অভিযোগ স্বীকার করে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে জানা নেই দাবি করে সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘যাঁরা সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন, আমি জানতে চাই, তাঁরা কারা? কারণ, উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি বহু আগেই মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। এ জন্য তাঁরা আবার মনমতো কমিটি করে আমার বিরুদ্ধে লড়তে চান।’
শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘আমি সংসদ সদস্য হওয়ার পর থেকে এলাকায় যে উন্নয়ন করেছি, এটা তাঁদের সহ্য হচ্ছে না। এ জন্য তাঁরা আমার উন্নয়নকাজে নানাভাবে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন।’
জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাহেদ সরকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা গতকাল (শনিবার) ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিলাম। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন আমাদের সংবাদ সম্মেলন না করার অনুরোধ করেন। এ জন্য আমরা বিষয়টি বিজ্ঞপ্তি আকারে তুলে ধরেছি।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, সংসদ নির্বাচনের পর থেকে দলের সাংগঠনিক কাঠামোর বাইরে গিয়ে প্রতিটি ইউনিয়নে একাধিক প্রতিনিধি সৃষ্টি করে নিজের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন শফিকুর রহমান। অথচ ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতারা তাঁর দিকে তাকিয়ে ছিলেন। দলীয় নেতা–কর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত তাঁর প্রতিনিধিদের হামলা ও মামলার শিকার হচ্ছেন। টক শোতে শফিকুর রহমান বলেছেন, উপজেলায় ৫০ বছরে যেসব কাজ হয়নি, তিনি সেসব করেছেন। এমন বক্তব্য দিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৪ বছরের ধারাবাহিক উন্নয়নকে অস্বীকার করেছেন।