বিএসএফের সঙ্গে কমান্ডার পর্যায়ে সভা, বিজিবির তীব্র নিন্দা ও কড়া প্রতিবাদ

বাংলাদেশের বাংলাবান্ধা সীমান্তের ওপারে ভারতের ফুলবাড়ী আইসিপিতে গতকাল বিজিবির উত্তর–পশ্চিম রিজিয়ন কমান্ডার এবং বিএসএফের নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার কমান্ডারের সৌজন্য সাক্ষাৎ ও সভা অনুষ্ঠিত হয়ছবি: বিজিবির সৌজন্যে

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশি কিশোর জয়ন্ত কুমার সিংহের (১৫) নিহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশের বাংলাবান্ধা সীমান্তের ওপারে ভারতের ফুলবাড়ী আইসিপিতে বিজিবির উত্তর–পশ্চিম রিজিয়ন কমান্ডার এবং বিএসএফের নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার কমান্ডারের সৌজন্য সাক্ষাৎ উপলক্ষে এক সভা হয়। সেখানে এই প্রতিবাদ জানানো হয়।

এ সময় বিএসএফের নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার কমান্ডার এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে বিএসএফ সীমান্তে কোনো বাংলাদেশি নাগরিকের ওপর গুলি চালাবে না বলে বিজিবির প্রতিনিধিদলকে আশ্বস্ত করেন।

গতকাল রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবির ঠাকুরগাঁও সেক্টর সদর দপ্তর এসব তথ্য জানায়। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিয়াউল হক মুঠোফোনে প্রথম আলোকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

সৌজন্য সাক্ষাতে বিজিবির পক্ষে রংপুর উত্তর–পশ্চিম অঞ্চলের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার শফিকুজ্জামান, ঠাকুরগাঁও সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মুহাম্মদ তৌহিদুর রহমানসহ বিজিবির অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বিএসএফের পক্ষে বিএসএফ নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের আইজি (ফ্রন্টিয়ার কমান্ডার) সুরিয়া কান্ত শর্মা শিলিগুড়ি ও কিশানগঞ্জ সেক্টরের কমান্ডার এবং বিএসএফের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বিজিবির পক্ষ থেকে ৯ সেপ্টেম্বর ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা সীমান্তে বাংলাদেশি কিশোর জয়ন্ত কুমার সিংহকে বিএসএফের টহলরত সদস্যদের গুলি করে হত্যার তীব্র নিন্দা জানানো হয়।

সভায় বিজিবির পক্ষ থেকে ৯ সেপ্টেম্বর ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা সীমান্তে বাংলাদেশি কিশোর জয়ন্ত কুমার সিংহকে বিএসএফের টহলরত সদস্যদের গুলি করে হত্যার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। এ সময় বিএসএফের নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের কমান্ডার (আইজি) এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে বিএসএফ সীমান্তে কোনো বাংলাদেশি নাগরিকের ওপর গুলি চালাবে না বলে বিজিবির প্রতিনিধিদলকে আশ্বস্ত করেন।

এ ছাড়া দুই দেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের নাগরিকদের মধ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম এবং আন্তসীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধে বিজিবি-বিএসএফ যৌথভাবে কাজ করার জন্য একমত পোষণ করে শান্তিপূর্ণভাবে সভা শেষ হয়।