কেরানীগঞ্জে বিএনপির শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ৯

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা, নেতা-কর্মীদের মারধর এবং ভাঙচুরের অভিযোগে ১০৮ জনের নাম এজাহারভুক্ত করে অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।

এদিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা, নেতা-কর্মীদের মারধর এবং ভাঙচুরের অভিযোগে গতকাল শুক্রবার রাতে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা–পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিএনপির নয়জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।

আজ শনিবার দুপুরে জিনজিরা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি এস এম সুমন বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায়, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী, সহসভাপতি ওমর শাহনেওয়াজ, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোকাররম হোসেনসহ বিএনপির ১০৮ নেতা-কর্মীকে আসামি করে ওই মামলা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার কোন্ডা ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাকির দেওয়ান (৪৫), শুভাঢ্যা ইউনিয়ন যুবদলের দপ্তর সম্পাদক মো. মাহবুব (৩৪), কোন্ডা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি মো. কাইয়ুম, আহসানউল্লাহ হাবিব (৪২), কোন্ডা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. সোবহান (৪৫), যুবদল নেতা কবির মোল্লা (৩২), ছাত্রদল নেতা মো. আশিক (২৫), কোন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য নবাব মিয়া (৬৫) ও যুবদল নেতা মো. সেলিম (৩৬)।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গতকাল সকালে ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে ঢাকা জেলা বিএনপি সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশ শুরু হওয়ার পর বিএনপির বিভিন্ন নেতারা আওয়ামী সরকারকে উৎখাতসহ বিভিন্ন উত্তেজনামূলক বক্তব্য দেন। এতে সেখানে উচ্ছৃঙ্খল পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এ সময় নিপুণ রায় উসকানিমূলক বক্তব্য দিলে নেতা-কর্মীরা সরকারবিরোধী বিভিন্ন উত্তেজনা ও কটূক্তিমূলক স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে নিপুণ রায়ের হুকুমে নেতা-কর্মীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, ধারালো চাকু ও বাঁশের লাঠিসোঁটা নিয়ে সড়কে যানবাহন ও মানুষের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এবং গালিগালাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে তাঁরা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করে কার্যালয়ের আসবাব ও গ্লাস ভাঙচুর এবং দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আজহার বাঙালিসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীদের ওপর হামলা ও মারধর করার অভিযোগে মামলাটি করা হয়।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন অর রশিদ জানান, সুমন বাদী হয়ে আজ দুপুরে মামলা করেছেন। এতে নিপুণ রায়কে প্রধান আসামি করে বিএনপির ১০৮ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়। দলীয় কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর এবং নেতা-কর্মীদের পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপির ৯ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।