জামায়াতের কর্মীকে হত্যার অভিযোগে ১১ বছর পর তৎকালীন এসপি-ওসির বিরুদ্ধে মামলা

মামলাপ্রতীকী ছবি

১১ বছর আগে সাতক্ষীরায় হাবিবুর রহমান (হবি) নামে জামায়াতে ইসলামীর এক কর্মীকে বাড়ি থেকে তুলে এনে নির্যাতনের পর গুলি করে হত্যার অভিযোগে তৎকালীন পুলিশ সুপার (এসপি), থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ৩৮ জনের নামে আদালতে মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আজ বুধবার নিহত হাবিবুরের বাবা আকবর আলী বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর আমলি প্রথম আদালতে মামলার আবেদন করেন। আদালতের বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নয়ন বড়াল আবেদনটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অমিত কুমার রায় বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।

মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন সাতক্ষীরার তৎকালীন এসপি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, এএসপি (সদর সার্কেল) কাজী মনিরুজ্জামান, সদর থানার ওসি এনামুল হক, উপপরিদর্শক হেকমত আলী, উপপরিদর্শক শরীফ নেয়াজী প্রমুখ।

মামলার আরজিতে বাদী উল্লেখ করেন, ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে আওয়ামী লীগের ৩৩ জন নেতা-কর্মী সন্ত্রাসী কায়দায় পিকআপ ও মাইক্রোবাসযোগে সাতক্ষীরা সদরের কুচপুকুর গ্রামের বাদীর বাড়িতে আসেন। তাঁরা ঘরে ঢুকে আধা ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালান। আসামিরা বাদীর বাড়ি থেকে ৫০ হাজার টাকা, পাঁচ ভরি সোনার গয়না, দলিল ও কাগজপত্র লুটপাট শেষে আসবাবসহ সাত লক্ষাধিক টাকার মালামাল ভাঙচুর করেন। পরে বাদী ও তাঁর ছেলে হাবিবুর রহমানকে মারধর করেন। এ সময় হামলাকারীরা ফোন দিলে তৎকালীন এসপি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, ওসি এনামুল হকসহ পুলিশের কয়েকজন সদস্য বাদীর বাড়িতে আসেন। পুলিশ ও অন্য আসামিরা বাদীর ছেলে হাবিবুর রহমানকে মারতে মারতে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। ১৫ ডিসেম্বর ভোর সাড়ে চারটার দিকে কদমতলার সোহরাব হোসেনের পুকুরপাড়ে বুকে গুলিবিদ্ধ হাবিবুরের লাশ পাওয়া যায়। ময়নাতদন্ত ছাড়াই জানাজা শেষে হাবিবুরের লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। তখনকার পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় মামলা করতে দেরি হয়েছে বলে আরজিতে উল্লেখ করা হয়।

সদর থানার বর্তমান ওসি রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, হাবিবুর হত্যার অভিযোগে আদালত থেকে এখনো কোনো নির্দেশের কাগজ পাননি। কাগজপত্র পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।