ভাসানচরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে বোনের পর মারা গেল ভাইও
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের একটি ক্লাস্টার ঘরে গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ওই শিশুর নাম রবি আলম (৫)। আজ সোমবার বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে আজ সকালে একই দুর্ঘটনায় দগ্ধ হয়ে এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোবাশ্বেরা (৩) নামের আরেক শিশুর মৃত্যু হয়। রবি আলম ও মোবাশ্বেরা আপন ভাই-বোন। এ নিয়ে এই বিস্ফোরণের ঘটনায় তিন শিশুর মৃত্যু হলো। এর মধ্যে আজকেই মারা গেছে দুজন।
নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান আজ বিকেলে প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আজ বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু রবি আলম মারা গেছে। সে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৮১ নম্বর ক্লাস্টারের সফি আলমের ছেলে। এর আগে সকালে মারা গেছে রবি আলমের ছোট বোন মোবাশ্বেরা। মোবাশ্বেরা আজ সকাল ৯টার দিকে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। এ নিয়ে এ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিনে।
পুলিশ ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গ্যাসের সিলিন্ডারের পাইপের লিকেজ থেকে সৃষ্ট বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ পাঁচজনকে বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তারা হলো জোবায়দা (২২), রশমিদা (৫), আমেনা খাতুন (২৪) ও সোহেল (৫)। এর মধ্যে রশমিদার শরীরের ৫০ শতাংশ, আমেনা খাতুনের ৮ শতাংশ, সোহেলের ৫২ শতাংশ ও জোবায়দার শরীরের ২৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আমেনা খাতুন ছাড়া বাকি সবার শ্বাসনালি দগ্ধ হয়েছে। তাই তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
গত শনিবার সকালে ভাসানচরে রোহিঙ্গা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৮১ নম্বর ক্লাস্টার ঘরে গ্যাসের সিলিন্ডারের পাইপের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ৫ শিশুসহ ৯ জন দগ্ধ হন। আহত ব্যক্তিদের প্রথমে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাতজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠান।