মনোনয়নপত্র গ্রহণের সময় বিজয়সূচক ‘ভি’ চিহ্ন দেখানো হয়নি, দাবি চাটখিলের ইউএনওর

গত বুধবার বেলা ১১টার দিকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এই সময় চাটখিলের ইউএনও ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়ার ‘ভি চিহ্ন’ দেখিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠেছবি: সংগৃহীত।

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণের সময় বিজয়সূচক ‘ভি’ চিহ্ন দেখানো হয়নি বলে দাবি করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া।

মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া বলেন, উপস্থিত লোকজন ও কার্যালয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলা বা নির্দেশনা প্রদান করার কোনো একটি মুহূর্তের ছবিকে বিজয় সূচক ‘ভি’ চিহ্ন হিসেবে দেখিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এই অপপ্রচার বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

গত বুধবার বেলা ১১টার দিকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। মনোনয়পত্র গ্রহণের সময় ইউএনও বাম হাতে মনোনয়নপত্র হাতে নিচ্ছেন, আর ডান হাতে ‘ভি’ চিহ্ন প্রদর্শন করছেন এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ছবিটি দেখে নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা ইউএনওর ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা হয়।

এ বিষয়ে ইউএনও মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি প্রায় এক দশক ধরে অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করা একজন সরকারি কর্মকর্তা। পেশাগত বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও নির্বাচন কমিশনের প্রশিক্ষণে আমাদের শেখানো হয়েছে কখন কোন আচরণ করতে হবে। মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসা প্রার্থীকে একজন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হয়ে বিজয়সূচক চিহ্ন দেখানোর প্রশ্নই আসে না।’

চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া
ছবি: সংগৃহীত

ইউএনও দাবি করেন, ‘বিজয়সূচক “ভি” চিহ্ন দেখাতে আমরা হাতের তালুর দিকটি সামনের দিকে সোজাভাবে দুই আঙুল উঠিয়ে প্রদর্শন করি। আর ছবিতে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে যে আমার হাতের পিঠের দিকটি সামনের দিকে রয়েছে। হাতটিও বামদিকে নামানো। ছবিতে এটাও স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে আমি কথা বলার মাধ্যমে হাতের ইশারায় কোনো নির্দেশনা দিচ্ছি।’

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা দেওয়ান মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ওই সময় ধারণ করা ভিডিওচিত্রটি দেখে নিশ্চিত হয়েছেন, পাঁচজনের বেশি থাকতে পারবেন না মর্মে হাত নাড়িয়ে নির্দেশনা দিচ্ছিলেন ইউএনও। সেখানে ‘ভি’ চিহ্ন দেখানো হয়নি। ভিডিও কেটে স্থিরচিত্র তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে। জেলা প্রশাসক আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ, নির্বাচন কমিশন ও বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়। ভিডিওসহ একটি প্রতিবেদন তাঁদের কাছে পাঠানো হয়েছে। ছবিটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে ছড়ানো হয়েছে মর্মে তাঁরা নিশ্চিত হয়েছেন।