গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসনে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী মো. সামসুদ্দিন খান নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে কাপাসিয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে সামসুদ্দিন খান বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা ঘোলাটে। বিভিন্ন চাপ আছে আমার ওপর। সেই চাপ সামলানোর মতো শারীরিক বা মানসিক শক্তি আমার নেই। হুমকিও আছে। সব মিলিয়ে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ৭ তারিখে আমি যে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ছিলাম, সেই নির্বাচনে যেহেতু প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ নেই, তাই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম।’
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ হিসেবে সামসুদ্দিন খান শারীরিক অসুস্থতার কথাও উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থ। তিনি বাইপাসের রোগী। নির্বাচনের কাজ করতে গিয়ে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে গেছেন। মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করাও সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া চাপ, হুমকি বা ঘোলাটে পরিস্থিতি সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট করে আলাদাভাবে কোনো তথ্য দেননি তিনি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সামসুদ্দিন খান দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি কাপাসিয়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি। কয়েকটি নির্বাচনে তিনি লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে পুরোদমে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন। নির্বাচনী পোস্টার ছাপিয়ে বিভিন্ন জায়গায় টানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে কাপাসিয়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এনামুল কবীর, গাজীপুর জেলা জাতীয় যুব সংহতির সদস্যসচিব জাকির হোসেন ও জাতীয় ছাত্রসমাজের কেন্দ্রীয় শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক বাদশা আবদুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, ‘শুনেছি লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। যেহেতু প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হয়ে গেছে। নির্বাচনী বিধিমালায় তিনি প্রার্থী হিসেবেই গণ্য হবেন। তাই এ ধরনের ঘোষণা তাঁর ব্যক্তিগত।’
এর আগে গাজীপুর-১ (কালিয়াকৈর ও সিটি একাংশ) ও গাজীপুর-৫ (কালীগঞ্জ ও সদর একাংশ) আসনের লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ও মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি এম এম নিয়াজ উদ্দিন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
গত রোববার ঘোষণা দিয়ে এম এম নিয়াজ উদ্দিন বলেছিলেন, ‘সরকারের একতরফা নির্বাচন, সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ব্যক্তিগত কারণে সরে দাঁড়িয়েছি। আমার সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গেও কোনো আলোচনা হয়নি। মূলত আমি আর পারছি না। যার কারণে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি।’