নালিতাবাড়ীতে ধানখেতে বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে বন্য হাতির মৃত্যু
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় ধানখেতে কৃষকদের দেওয়া জেনারেটরের তারে জড়িয়ে একটি বন্য হাতির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার সীমান্তবর্তী বাতকুচি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গতকাল রাতেই বন বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে জেনারেটরটি জব্দ করেছেন। আজ শুক্রবার সকালে প্রথম আলোকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ বন বিভাগের মধুটিলা ইকোপার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম।
বন বিভাগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এক সপ্তাহ ধরে ২৫–৩০টি বন্য হাতির পাল উপজেলার সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ের বিভিন্ন টিলায় ও জঙ্গলে অবস্থান করছে। দিনে বেলায় টিলা বা জঙ্গলে অবস্থান করলেও সন্ধ্যা নামার পর হাতির পাল দল বেঁধে ধানখেতে, লোকালয়ে নেমে আসে। এ জন্য কৃষকেরা ফসলরক্ষায় মশাল জ্বালিয়ে, ঢাক-ঢোল পিটিয়ে হাতির পাল প্রতিরোধের চেষ্টা করছেন।
বাতকুচি গ্রামের টিলাপাড়া এলাকায় পাহাড়ের ঢালে ৪০–৫০ একর জমিতে আমনের আবাদ করা হয়েছে। ফসল রক্ষায় কৃষকেরা ধানখেতে জেনারেটরের মাধ্যমে তার দিয়ে ঘিরে রাখেন। গতকাল রাতে হাতির পাল সেই ফসল খেতে হানা দেয়। এ সময় একটি হাতি তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়। এ সময় অন্য হাতিগুলো মৃত হাতিটিকে ঘিরে রাখে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে বন বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে জেনারেটর জব্দ করে নিয়ে যান। আজ শুক্রবার সকালে মৃত হাতিটি রেখে অন্য হাতিগুলো জঙ্গলে ফিরে যায়।
মধুটিলা এলাকার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম বলেন, আমন ও বোরো মৌসুমে বন্য হাতি অত্যাচার বেশি করে। এক সপ্তাহ আগে ২৫–৩০টি হাতি পাহাড় থেকে লোকালয়ে নেমে এসেছে। বাতকুচি চিলাপাড়া এলাকায় ফসল রক্ষায় জেনারেটরের মাধ্যমে তার দেওয়া হয়েছে। গতকাল রাতে সেই তারে জড়িয়ে একটি হাতির মৃত্যু হয়েছে।
মধুটিলা ইকোপার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, জেনারেটরের তারে জড়িয়ে একটি হাতির মৃত্যু হয়েছে। রাতেই বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। মৃত হাতির ময়নাতদন্ত করা হবে। এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।