মাগুরায় ঝোপ থেকে উদ্ধার নবজাতকের মা দাবিদার দুই নারী
মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায় একটি মসজিদের পাশে ঝোপ থেকে উদ্ধার এক নবজাতককে নিজের সন্তান বলে দাবি করেছেন দুই নারী। তাঁরা সম্পর্কে বোন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত মা দাবি করা দুই বোন ও এক বোনের স্বামী বর্তমানে শ্রীপুর থানা-পুলিশের হেফাজতে আছেন। এর আগে গতকাল বুধবার দুপুরে এক দম্পতি থানায় এসে নিজেদের ওই নবজাতকের মা-বাবা দাবি করেন। একপর্যায়ে এক তরুণী থানায় এসে বলেন, তিনি ওই নবজাতকের মা।
এর আগে গতকাল ভোরে উপজেলার একটি ঝোপে এক নবজাত কন্যাশিশুকে দেখতে পান স্থানীয় এক গৃহবধূ। পরে তাকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে নবজাতকটি সুস্থ আছে।
আজ সকালে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মো. আশরাফুজ্জামান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘নবজাতকটি সুস্থ আছে। শিশুবিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তাকে দেখেছে। সে এখন আমাদের উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সদের তত্ত্বাবধানে আছে।’
এদিকে শ্রীপুর থানা ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুরের পর নবজাতকের মা-বাবা দাবি করা এক দম্পতি থানায় আসেন। তবে পুলিশ যাচাই-বাছাই করে দেখে, থানায় আসা ওই নারীর মধ্যে সম্প্রতি মা হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। এমন পরিস্থিতিতে ওই দম্পতিকে আটক করে পুলিশ। পরে ওই নারীর বোন থানায় এসে নিজেকে ওই নবজাতকের মা দাবি করেন। এ ঘটনার পর পুলিশ ওই তিনজনকেই হেফাজতে রেখেছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিশারুল ইসলাম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা যাচাই-বাছাই করছি। তবে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কারও পরিচয় প্রকাশ করা হচ্ছে না।’
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. ওয়াসিম আকরাম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ওই দুই নারীর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে ওই নবজাতককে দত্তক হিসেবে পেতে অন্তত ১০টি পরিবার ইতিমধ্যে আবেদন জানিয়েছে।
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শ্যামানন্দ কুণ্ডু প্রথম আলোকে বলেন, আজ উপজেলা শিশুকল্যাণ বোর্ডে এ নিয়ে একটি সভা হবে। সেখানে যাচাই-বাছাই করে ওই নবজাতকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। যদি নবজাতকের মা-বাবাকে খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে তাঁদের কাছে দেওয়া হবে। তা না হলে আইন অনুযায়ী অন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।