মাদারীপুরে ২ সন্তানকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় আদালতে মায়ের স্বীকারোক্তি
মাদারীপুরে ঘরে আগুন দিয়ে দুই সন্তানকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মা পূর্ণিমা বৈদ্য। আজ বুধবার বিকেলে জেলার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতের বিচারক মো. সাজিদ উল হাসান চৌধুরী আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে ঢাকার কাকরাইল এলাকা থেকে পূর্ণিমাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পূর্ণিমা রানী সদর উপজেলার শিরখাড়া ইউনিয়নের শ্রীনদী এলাকার বাসিন্দা মানিক বৈদ্যর স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্ত্রী ও দুই শিশুসন্তানকে নিয়ে সদর উপজেলার ঝিকরহাটি এলাকায় একতলা টিনশেড ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন মানিক বৈদ্য। বাড়ির মালিক সাবেক সেনাসদস্য গোলাম মাওলা মাতুব্বর সপরিবার ঢাকায় থাকেন। মাসখানেক আগে মানিককে একটি চুরির মামলায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে তিনি কারাগারে। গত সোমবার দুপুর ১২টার দিকে মানিকের ঘরে আগুন দেখতে পান প্রতিবেশীরা। পরে ঘরের দরজা ভেঙে পানি ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ফায়ার সার্ভিস। তারা ঘরের ভেতর থেকে দেড় বছর বয়সী এক শিশুর লাশ উদ্ধার করে। এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় আরেক শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানায়, ঘটনার পর শিশু দুটির মা পূর্ণিমা ও নানি রেবা রানী বৈদ্যকে পাওয়া যাচ্ছিল না। এ ঘটনায় নিহত শিশুদের দাদা কালীদাস বৈদ্য বাদী হয়ে পূর্ণিমা ও তাঁর মা রেবা রানী বৈদ্যকে আসামি করে সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানীর কাকরাইল থেকে পূর্ণিমাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ঘরে তালা দিয়ে আগুন ধরিয়ে পূর্ণিমা তাঁর দুই শিশুসন্তানকে হত্যা করেন। আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি রেকর্ড করার পর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।