সোনাইমুড়ীতে চিকিৎসকের ওপর হামলার চেষ্টা, গাড়ি ভাঙচুর, আটক ১
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত এক নারী চিকিৎসকের ওপর হামলার চেষ্টা চালিয়েছেন এক ব্যক্তি। একপর্যায়ে চিকিৎসকের ব্যবহৃত প্রাইভেট কারের কাচ ভাঙচুর করেন তিনি। এ সময় হাসপাতালের কর্মচারীরা ওই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশের সোপর্দ করেন।
গতকাল শনিবার রাত পৌনে আটটার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, আটক ব্যক্তির নাম মো. ইয়াসিন (২৫)। তিনি বর্তমানে সোনাইমুড়ী থানার হেফাজতে রয়েছেন। তবে এ ঘটনায় আজ রোববার সকাল নয়টা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত নারী চিকিৎসক নাবিলা চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাত পৌনে আটটার দিকে তিনি জরুরি বিভাগে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এমন সময় ইয়াসিন নামের ওই ব্যক্তি জরুরি বিভাগে এসে তাঁর পাশের চেয়ারে বসেন। চিকিৎসক তাঁর কাছে জানতে চান, মারামারি না দুর্ঘটনার চিকিৎসা নিতে এসেছেন? তখন ওই ব্যক্তি অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকেন এবং চিকিৎসককে মারার চেষ্টা করেন। এ সময় দায়িত্বরত ওয়ার্ডবয় ওই ব্যক্তিকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তখন ওই ব্যক্তি দ্বিতীয়বার তাঁর দিকে তেড়ে আসেন মারার জন্য। মারতে ব্যর্থ হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে রাখা তাঁর প্রাইভেট কারের কাচ ভেঙে ফেলেন। এ সময় আশপাশ থেকে হাসপাতালের অন্য কর্মচারীরা এসে ওই ব্যক্তিকে আটক করে বেঁধে রাখেন।
নাবিলা চৌধুরী বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তিনি তাৎক্ষণিক সোনাইমুড়ী থানায় ফোন দেন। প্রায় আধা ঘণ্টা পর পুলিশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসে। এরপর আটক ব্যক্তিকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় তিনি হাসপাতালে দায়িত্ব পালনে চরম নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইশরাত জাহান প্রথম আলোকে বলেন, হামলাকারী ব্যক্তিকে তাৎক্ষণিক আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে আজ থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হবে।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জিয়াউল হক প্রথম আলোকে বলেন, চিকিৎসকের ওপর হামলাচেষ্টার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে একজনকে আটক করে। আটক ব্যক্তি বর্তমানে থানা হেফাজতে রয়েছেন। এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লিখিত অভিযোগ দিলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।