আনোয়ারায় মাছ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের হাতে নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন এক মাছ বিক্রেতা। আজ রোববার ভোর সাড়ে পাঁচটার সময় উপজেলার শোলকাটা মনু মিয়ার মসজিদসংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম জালাল উদ্দীন (৪৩)। তিনি উপজেলার জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার আলতাফ মুন্সীর ছেলে।

স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, আজ ভোরে মাছের ঘের থেকে মাছ নিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে কালাবিবির দিঘির মোড়ের আড়তে যাচ্ছিলেন জালাল উদ্দীন। তাঁদের গাড়িটি শোলকাটার মনু মিয়া মসজিদসংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে ১০-১২ জন ব্যক্তি গাড়িটি আটকায়। গাড়ি থেকে নামিয়ে তাঁরা জালালকে কোপাতে থাকেন। একপর্যায়ে জালালের মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যান হামলাকারীরা।

ওই সময় মসজিদ থেকে বের হওয়া লোকজন এসে জালালকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিহত জালাল উদ্দীনদের সঙ্গে মাছের ঘেরের দখল নিয়ে কয়েকজনের সঙ্গে বিরোধ ছিল। এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি মামলাও আছে। এর জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে তাঁরা মনে করছেন।

নিহত জালাল উদ্দীনের ভাই জামাল উদ্দীন বলেন, ‘আমরা এলাকায় মাছের ঘের ও মাছের ব্যবসা করি। মাস দেড়েক আগে আমার কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে মো. মোকতার নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি। ওই ঘটনায় আমার ভাই বাদী হয়ে আদালতে মামলা করলে তাঁরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ভাইকে মেরে ফেলে। মোকতার ও নুর হোসেনের নেতৃত্বে আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে মো. মোকতারের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। ঘটনার পর তাঁকে এলাকায় দেখা যায়নি।

আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমেদ বলেন, ‘আমরা লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।’

ওসি সোহেল আহমেদ আরও বলেন, স্থানীয় রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, মাছের ঘের নিয়ে বিরোধ ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে ঘিরে এমন ঘটনা ঘটছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।