রাজবাড়ীতে ট্রেনের ধাক্কায় মুদিদোকানি নিহত, গুরুতর আহত ১
ভারী বৃষ্টির মধ্যে রেললাইন দিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন মুদিদোকানি মিজান ফকির। সঙ্গে ছিলেন প্রতিবেশী রাজমিস্ত্রি তোতা ফকির। মুষলধারে বৃষ্টির কারণে ট্রেনের হুইসেল শুনতে পাননি মিজান। হঠাৎ পেছন থেকে আসা ‘ভাটিয়াপাড়া এক্সপ্রেস’ ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন মিজান ফকির। গুরুতর আহত হন তোতা ফকির। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের চর ফরিদপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মিজান ফকির (৩৮) বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের গোশাইপাড়া গ্রামের আবদুল হাকিম ফকিরের ছেলে। তিনি বহরপুর স্টেশনে মুদিদোকান চালাতেন।
গুরুতর আহত তোতা ফকির (২৬) একই গ্রামের শহিদ ফকিরের ছেলে। তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। রাজবাড়ী রেলওয়ে (জিআরপি) পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, আজ বিকেলে ভাটিয়াপাড়া থেকে ছেড়ে আসা ভাটিয়াপাড়া এক্সপ্রেস ট্রেনটি বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের চর ফরিদপুর দিয়ে রাজবাড়ীর কালুখালীর দিকে যাচ্ছিল। ওই রেললাইন দিয়ে মিজান ফকির ও তোতা ফকির বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পেছন থেকে ট্রেনটি তাঁদের ধাক্কা দিলে মিজান ফকির ঘটনাস্থলেই নিহত হন। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত তোতা ফকিরকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল ও পরে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
তোতা ফকিরের ভগ্নিপতি আলামিন শেখ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, তোতা ফকিরের দুই পা গুরুতর জখম হয়েছে। বেশ কয়েকটি সেলাই লেগেছে। বর্তমানে তিনি আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
রাজবাড়ী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোমনাথ বসু প্রথম আলোকে বলেন, ট্রেনের ধাক্কায় মাথায় আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই মুদিদোকানি মিজান ফকির মারা যান। রাত আটটার দিকে পরিবারের কাছে লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। গুরুতর আহত তোতা ফকির বর্তমানে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।