গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি বাড়ছে, তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে

আজ সোমবার দুপুরে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব কঞ্চিপাড়া এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের চিত্রছবি: প্রথম আলো

অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধায় সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে। আজ সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদ, ঘাঘট, তিস্তা ও করতোয়া নদীর পানি বেড়েছে। আজ দুপুরে তিস্তার পানি বিপৎসীমার পাঁচ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে বাকি তিনটি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গাইবান্ধার পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখঘাট পয়েন্টে ২৮ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ১৮ সেন্টিমিটার, করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চকরহিমাপুর পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার ও তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ উপজেলা-সংলগ্ন কাউনিয়া পয়েন্টে ৭ সেন্টিমিটার বেড়েছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ১২১ সেন্টিমিটার, ঘাঘটের পানি ১৮১ সেন্টিমিটার ও করতোয়ার পানি ৩৫২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়েছে।

গাইবান্ধার পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক মুঠোফোনে বলেন, উজানের ঢলে ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে তিস্তা বাদে অন্য তিনটি  নদীর পানি বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে নদ-নদীর পানি বাড়ায় গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি, মোল্লারচর ও ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্ডাবাড়ি, ফজলুপুর, কঞ্চিপাড়া এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ও হরিপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে।