গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির এক কিলোমিটারজুড়ে খানাখন্দে ভরা। এ কারণে প্রায় দুই বছর ধরে ভুগতে হচ্ছে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার কলেজ রোড এলাকার বাসিন্দাদের। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন উপজেলা শহর ও দুটি ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে।
ভোগান্তির কথা জানিয়ে কলেজ রোড এলাকার ব্যবসায়ী মো. সামসুদ্দিন বলেন, অবহেলিত এ সড়কের মতো কাপাসিয়ার মধ্যে আর কোনো সড়ক নেই। এটি উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর একটি। দুই বছরের বেশি সময় ধরে সড়কটির এ অবস্থা। বর্তমানে এ সড়কে ব্যবসায় পণ্য আনা-নেওয়া করতে ব্যাপক সমস্যা হয়। ভাঙনের গর্তে পড়ে মাঝেমধ্যে যানবাহন উল্টে যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, কাপাসিয়া বাজারের কলেজ রোডের মোড় থেকে বলদা বাজারের মোড় পর্যন্ত এ সড়কজুড়ে ১০টি স্থানে খানাখন্দ রয়েছে। বৃষ্টির পানি জমে আছে। কলেজ রোডের দুই পাশে রয়েছে কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজ, হরিমঞ্জুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উচ্চবিদ্যালয়, সাবরেজিস্ট্রি, আয়করসহ সরকারি-বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়। তবে গতকাল শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় সেদিন শিক্ষার্থীদের সড়কে তেমন দেখা যায়নি। এ ছাড়া এ পথে উপজেলার চাঁদপুর, দুর্গাপুর ইউনিয়নের লোকজন ছাড়াও পার্শ্ববর্তী কালীগঞ্জ উপজেলার লোকজন নিয়মিত চলাচল করেন।
সড়কটির বিষয়ে গতকাল দুপুরে প্রথম আলোকে কাপাসিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মাঈন উদ্দীন বলেন, মানুষের ভোগান্তি লাগবে দ্রুতই সড়কটি সংস্কারে কার্যাদেশ আহ্বান করা হবে। সড়কটির সংস্কারকাজের অনুমোদন হয়েছে। এ ভোগান্তি বেশি দিন থাকবে না।
এ সড়কে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ বার যাওয়া-আসা করেন মো. হাবিবুল্লা। তিনি বলেন, সড়কটি ভাঙা থাকায় পায়ে হেঁটে আসা-যাওয়া করতে হয়। এ পথে রিকশাচালকেরা যেতে চান না। ভাড়া বেশি দাবি করেন।
কলেজ রোডেই বাড়ি একটি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তাজউদ্দিন আহমেদের। যেকোনো জায়গা থেকে বাড়িতে ফিরতে হলে এ সড়ক ব্যবহার করা ছাড়া কোনো উপায় থাকে না তাঁর। দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয়।