ফরিদপুরে পোস্টার লাগানো নিয়ে নৌকা ও ঈগল মার্কার সমর্থকদের মধ্যে মারামারি
ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে পোস্টার লাগানো কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হক (নৌকা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের (ঈগল) সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর ওমেদিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
মারামারিতে দুই পক্ষের দুজন আহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন নৌকা প্রতীকের সমর্থক রুহুল আমিন শেখ (৪৮) ও ঈগল প্রতীকের সমর্থক আজিজ শেখ (৩০)। রুহুল আমিনের মাথা ও মুখে আঘাত লেগেছে আর আজিজ শেখের ডান পা ও মাথায় গুরুতর জখম হয়েছে। তাঁদের ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, আজ দুপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের সমর্থকেরা সদর উপজেলার দুর্গাপুর ওমেদিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পোস্টার টানাতে গেলে শামীম হকের সমর্থকেরা তাঁদের বাধা দেন। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এতে এ কে আজাদের পক্ষের আজিজ শেখ ও শামীম হকের পক্ষের রুহুল আমিন আহত হন। এলাকাবাসী ও সমর্থকেরা আহত দুজনকে উদ্ধার করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা–পুলিশের দুটি দল ঘটনাস্থলে যায়। বর্তমানে ওই এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হক প্রথম আলোকে বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় তাঁর সমর্থক রুহুল আমিন শেখ আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, এ কে আজাদ নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছেন। সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছেন তিনি।
এ অভিযোগ নাকচ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ বলেন, ‘আমি সন্ত্রাসীদের লালন করি না। কে সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দেয়, তা ফরিদপুরের মানুষ ভালোভাবেই জানেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থকেরা প্রতিনিয়ত আমাদের কর্মীদের হামলা করছে, মারপিট করছে, আমার নির্বাচনী ক্যাম্প ভেঙে দিচ্ছে। আমাকে প্রতিনিয়ত সন্ত্রাস মোকাবিলা করে চলতে হচ্ছে।’
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, দুপুরে ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের ওমেদিয়া বটতলা বাজারে ঈগল মার্কার পোস্টার লাগানোর সময় নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে মারামারির ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষের দুজন আহত হয়েছেন। তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।