রাজশাহীতে জামায়াত নেতার বাড়িতে ‘রামদা অভিযান’ নিয়ে যা বলল পুলিশ

রাজশাহীর কাটাখালীতে জামায়াত নেতার বাড়িতে ‘রামদা’ নিয়ে পুলিশের অভিযান চালানোর অভিযোগ উঠেছেছবি: ভিডিও থেকে সংগৃহীত

রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জামায়াত নেতা মাজিদুর রহমানের বাড়িতে পুলিশের ‘রামদা অভিযান’ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে গতকাল বুধবার দুপুরে একটি ভিডিও ও কিছু ছবি প্রকাশ করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই অভিযানের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন কাটাখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুর রহমান। পুলিশ জামায়াতের একজনের বাড়িতে অভিযানের কথা স্বীকার করলেও হাতে থাকা অস্ত্রটি ‘রামদা’ নয় বলে দাবি করে।

ভিডিও-সংবলিত ফেসবুকের ওই পোস্টে লেখা হয়, ‘রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী যখন রামদা, কিরিচ হাতে অভিযানের নামে সন্ত্রাসীর ভূমিকায়! তখন বিচার চাইব কার কাছে? আজ ২০.১২.২৩ ইং তারিখে রাত ৯টা ৫৪ মিনিটে রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার বারবার নির্বাচিত মেয়র অধ্যাপক মাজিদুর রহমানের বাসায় কাটাখালী থানার ওসি তৌহিদের নেতৃত্বে দেশি অস্ত্র হাতে সশস্ত্র অভিযান। অভিযানে এসআই আজাহারসহ অস্ত্র হাতে কয়েকজনকে দেখা গিয়েছে।’

ওসি তৌহিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ওই জামায়াত নেতার নামে ২৭-২৮টি মামলা আছে। তাঁরা গতকাল সকালেও গ্রামের ভেতরে একটি ট্রাকে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করেন। না পেরে কাচ ভাঙচুর করেছেন। তাঁদের নামে মামলা করেই অভিযান চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, নাশকতার মামলার ওই আসামিদের বিরুদ্ধে অনবরত অভিযান চলতেই থাকবে।

ওসি তৌহিদুর রহমান বলেন, তাঁরা দেখেছেন, ‘জামায়াত সমর্থক গোষ্ঠী’ ও ‘বিএনপির মিডিয়া সেল’ থেকে ফেসবুকে পুলিশের অভিযান দেখানো হচ্ছে। যারা এগুলো ছড়াচ্ছে, তাঁদের কয়েকজনকে পুলিশ শনাক্ত করেছে। তিনি বলেন, ‘যেটাকে ওরা রামদা বলছে, সেটা একটা বাঁকা বাঁশ। ১০ বছর ধরে এটা থানায় আছে। পুলিশ ব্যবহার করে।’

ওসি তৌহিদুর রহমান আরও বলেন, আসামি মিজানের (স্থানীয় জামায়াত নেতা) বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় তাঁর চাচাকে ওয়ারেন্ট অফিসারের সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয়। একজন ওয়ারেন্টের আসামিকে ধরার জন্য কাউকে সঙ্গে নিতে হয় না। এরপরও তাঁরা আসামির চাচাকে সঙ্গে নিয়েছেন। তিনি বলেন, নাশকতার মামলার আসামির বাড়িতে চালানো অভিযানের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল করে কোনো লাভ নেই।

এ বিষয়ে জামায়াত নেতা মাজিদুর রহমানের সঙ্গে কথা বলতে মুঠোফোন নম্বরে কল করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।