করিমগঞ্জে সড়কের কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে সড়কের কাজ দ্রুত শেষ করার দাবিতে এলাকাবাসীর উদ্যোগে আজ বৃহস্পতিবার মানববন্ধন হয়েছে। করিমগঞ্জ-চামড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের চামড়া বন্দর এলাকায় প্রায় এক কিলোমিটার সড়কের নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ করার দাবিতে এই মানববন্ধন হয়। এতে চামড়া বন্দরের ব্যবসায়ী ও নানা শ্রেণি–পেশার মানুষ অংশ নেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় চার বছর আগে ২০২০ সালে কিশোরগঞ্জ শহরের একরামপুর থেকে করিমগঞ্জের চামড়া বন্দর পর্যন্ত সাড়ে ১৯ কিলোমিটার সড়কের পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হয়। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির কাজ শুরু হলেও এখনো কাজটি শেষ হয়নি। এর মধ্যে চামড়া বন্দর এলাকায় প্রায় এক কিলোমিটার সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। মানববন্ধনে এলাকাবাসী বলেন, চার বছরের বেশি সময় আগে রাস্তাটির কাজ শুরু করা হলেও এখনো কাজ শেষ হয়নি। চামড়া বন্দরের এক কিলোমিটার রাস্তাটি ভাঙাচোরা ও বেহাল হওয়ায় হাওরাঞ্চলের হাজারো মানুষ যাতায়াতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। রোগী নিয়ে সময়মতো হাসপাতালে যাওয়া যায় না। দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করা এখন সবার প্রাণের দাবি।
এলাকাবাসী আরও বলেন, এই সড়কের জন্য চার জেলার কয়েক হাজার মানুষকে যানবাহন নিয়ে অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। এর মধ্যে হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ, বানিয়াচং, নেত্রকোনার কালিয়াজুরি, সুনামগঞ্জের শাল্লা, দিরাই, শামারচর ও কিশোরগঞ্জের ইটনা, মিঠামইনের মানুষজন এখান দিয়ে চলাচল করে। এ ছাড়া হাওরাঞ্চলসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে চামড়া বন্দর হয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিপুল পরিমাণ ধান, কয়লা, পাথর, বালু আনা–নেওয়া করা হয়। এতে প্রায়ই তীব্র যানজটের পাশাপাশি অনেক সময় ট্রাকসহ বিভিন্ন গাড়ি উল্টে দুর্ঘটনাও ঘটে।
বছরখানেক আগে ট্রাক উল্টে গিয়ে এক চালক মারা যান। এসব কারণে চামড়া বন্দরের প্রায় এক কিলোমিটার সড়কের সংস্কারকাজ দ্রুত শেষ করার দাবি জানান ব্যবসায়ীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা।
মানববন্ধনে এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য দেন সাবেক ইউপি সদস্য রেনু মিয়া, ব্যবসায়ী আরিয়ান হোসেন, কবির হোসেন, নাজমুল হুদা প্রমুখ।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ সড়ক উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মাইদুল ইসলাম বলেন, সড়কটি সংস্কারের জন্য জমি অধিগ্রহণসহ প্রায় ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। ২০২০ সালের মার্চ মাসে কাজ শুরুর পর কয়েকবার সময় বাড়ানো হয়েছে। তবে জমি অধিগ্রহণের ভূমি এখনো সম্পূর্ণরূপে বুঝে না পাওয়ায় কাজে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে দ্রুত কাজটি শেষ করার আশ্বাস দেন তিনি।