কম্বল আনতে বাধা দেওয়ায় ভাতিজাকে হত্যা, চাচার স্বীকারোক্তি

পটিয়া উপজেলার ম্যাপ

গলায় ছুরি চালিয়ে ভাতিজাকে খুনের ঘটনার ছয় দিন পর চট্টগ্রাম থেকে চাচা জালাল উদ্দিনকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন খাজা রোড এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিআইডি চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিশেষ পুলিশ সুপার শাহনেওয়াজ খালেদ।

বিশেষ পুলিশ সুপার শাহনেওয়াজ খালেদ বলেন, গ্রেপ্তার আসামি জালাল উদ্দিনকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি বলেন, তাঁর ব্যবহৃত কম্বল আনতে গেলে ভাতিজা মোহাম্মদ রাশেদ (২৪) তাঁকে বাধা দেন এবং এ নিয়ে তাঁদের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জালাল উদ্দিন গলায় ধারালো ছুরি চালিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেন।

পুলিশ জানায়, চাচা জালাল বহদ্দার হাট এলাকায় একটি হোটেলের কর্মচারী। চাচা–ভাতিজার মধ্যে নানা বিষয় নিয়ে আগে থেকে বিরোধ চলছিল। ওই দিন কম্বল আনতে গেলে মারামারি হয়।

১৬ নভেম্বর রাতে চট্টগ্রামের পটিয়ার পূর্ব হাইদগাঁও গ্রামে তাঁদের বসতবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১৭ নভেম্বর মোহাম্মদ রাশেদের স্ত্রী তাসনিম আক্তার বাদী হয়ে জালাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় মামলা করেন।

মোহাম্মদ রাশেদ হাইদগাঁও ইউনিয়নের মৃত জামাল মিয়ার ছেলে। পেশায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক ছিলেন তিনি। এ ঘটনার পর থেকে চাচা জালাল উদ্দিন পলাতক ছিলেন।