খুলনার বাজারে সাড়ে ২৩ কেজির ভোল মাছ, দাম হাঁকাচ্ছে ৮ লাখের বেশি

গত ১০ জানুয়ারি বঙ্গোপসাগরে দুবলার চর এলাকায় এক জেলের জালে ভোল মাছটি ধরা পড়ে
ছবি: প্রথম আলো

খুলনার রূপসা পাইকারি মাছ বাজারে ২৩ কেজি ৬৮০ গ্রাম ওজনের একটি ভোল মাছ বিক্রির জন্য আনা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে মাছটি রূপসা পাইকারি বাজারে নিয়ে আসা হয়। এর আগে দুবলার চরে মাছটির দাম ৮ লাখ টাকা উঠেছিল বলে দাবি করেন এর বিক্রেতা। তবে আরও বেশি দামে বিক্রির আশায় তিনি মাছটি বিক্রি করেননি।

১০ জানুয়ারি বঙ্গোপসাগরে দুবলার চর এলাকায় মাসুম বিল্লাহ নামের এক জেলের জালে ধরা পড়ে মাছটি। তবে মাছটি খুলনায় নিয়ে এসেছেন মো. রহমত নামের এক ব্যক্তি। তিনি মাসুম বিল্লাহ সহযোগী ও পেশায় তিনিও জেলে। রহমত মাছটি বিক্রির জন্য রূপসা পাইকারি বাজারের মেসার্স মদিনা ফিস ট্রেডার্স নামের আড়তে তুলেছেন। দুষ্প্রাপ্য বিশাল মাছটি দেখতে বিভিন্ন বয়সের মানুষ ভিড় জমিয়েছেন ওই আড়তে। তবে আশানরূপ দাম না পাওয়ায় এখন মাছটি চট্টগ্রামে পাঠানোর পরিকল্পনা করছেন রহমত।

রহমত বলেন, ১০ জানুয়ারি ভোর ছয়টার দিকে মাসুম বিল্লাহর জালে মাছটি ধরা পড়ে। মাসুমের বাড়ি সাতক্ষীরার আশাশুনির কুড়িকাহুনিয়া গ্রামে। মাছটি ধরা পড়ার পর তিনি সেটি দুবলার চরে নিয়ে আসেন। সেখানেই মাছটির দাম কেজিপ্রতি ৪০ হাজার টাকা ধরা হয়। স্থানীয় বাজারে ওই হিসেবে দাম হয় ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা। তবে আরও বেশি দামের আশায় তিনি মাছটি বিক্রি না করে খুলনার বাজারে নিয়ে এসেছেন।

মদিনা ফিশ ট্রেডার্সের পরিচালক মো. আবু মুছা বলেন, ‘এত বড় ভোল মাছ আগে কখনো দেখিনি। ভোল মাছ বিভিন্ন ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয় বলে শুনেছি। এ কারণে এই মাছের দাম এত বেশি।’

খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল বলেন, এত বড় ভোল মাছ সচরাচর দেখা যায় না। মূলত ভোল মাছ যত বড় হয়, এর দাম তত বেশি হয়। কারণ, সামুদ্রিক এই মাছের বায়ুথলি বা এয়ারব্লাডার ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিশেষ স্যুপ তৈরিতেও এই মাছ ব্যবহার করা হয়।