সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের প্রতিবাদে কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ
রাজধানীতে সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পরিকল্পিত দাবি করে এর প্রতিবাদে কুমিল্লা নগরে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা–কর্মীরা। এ সময় সচিবালয়ে ‘আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসন’ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা।
আজ বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লা নগরের ঈদগাহ মাঠ থেকে সচিবালয়ে আগুন ও আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত মিছিলটি নগরের কান্দিরপাড় এলাকার পূবালী চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা জেলা শাখার সদস্যসচিব রুবেল হোসাইনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন কুমিল্লা জেলার আহ্বায়ক মোহাম্মদ সাকির হোসাইন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা জেলার জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক নাঈমুর রহমান, মুখ্য সংগঠক আরাফ ভূঁইয়া, যুগ্ম সদস্যসচিব মো. অনিক, যুগ্ম আহ্বায়ক সাব্বির মজুমদার, যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী নাছির প্রমুখ।
সমাবেশে মোহাম্মদ সাকির হোসাইন বলেন, ‘পরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সচিবালয়ে আগুন লাগনো হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমরা আহ্বান করছি। এই সচিবালয়ে বসে অবৈধ আদেশের মাধ্যমে আমাদের ভাইদের ওপর গুলি চালানো হয়েছিল। পুলিশ ভাইদের সামনে রেখে পেছন থেকে তাঁরাই আদেশ প্রদান করত। এভাবেই আমাদের ভাইদের হত্যা করা হয়েছে। এরাই হাসিনাকে দিনে দিনে ফ্যাসিস্ট হতে সহায়তা করেছে। সুতরাং ফ্যাসিস্ট এবং তাঁর সহায়তাকারী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
পাঁচ দিনের মধ্যে সচিবালয় থেকে আওয়ামী দোসরদের বিতাড়িত করার দাবি জানিয়ে সাকির হোসাইন আরও বলেন, না হলে ৫ আগস্টের মতো আবারও ছাত্র-জনতা মাঠে নেমে সচিবালয়ে ঘেরাও করবে। সেটা হবে দ্বিতীয় বিপ্লব। কারণ, শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তাদের দোসররা এখনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ছাত্র–জনতা যখন আবার জেগে উঠছে, তখন তাদের আবারও দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে।