‘বহুত দিন হরে রান্ধুইনা খাওন হাইছি’

৩০০ বানভাসি মানুষের মধ্যে রান্না করা খাবার ও পানিবাহিত রোগের ওষুধ বিতরণ করা হয়। আজ শনিবার সকালে কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার রামারবাগ গ্রামেছবি: এম সাদেক

‘আমডার এমুইল যখন হানি (পানি) অই, হেদিন থাই হুগনা (শুকনা) খাওন খাইতাছি, মুখ ব্যথা অই গেছে। বহুত দিন হরে রান্ধুইন্না (রান্না করা) খাওন হাইছি।’ প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে রান্না করা খাবার খেয়ে আজ শনিবার সকালে এভাবেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন কুমিল্লা লাকসাম উপজেলার রামারবাগ গ্রামের গৃহিণী বন্যার্ত জেসমিন আক্তার (৪০)।

একই গ্রামের বাসিন্দা মো. হেলাল। তিনি কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। পানিতে তাঁর ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। আজ রান্না করা খাবার খেয়ে হেলাল বললেন, ‘যেদিন তুন বন্যা শুরু অই, হেদিন তুন আইজগাও ঘরে চুলা জলিনে। কয় দিন হর রান্ধুইন্না কাওন হাইছি আল্লায় কইতারবো।’

প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে এবং কুমিল্লা প্রথম আলো বন্ধুসভার সহযোগিতায় আজ শনিবার সকালে লাকসাম উপজেলার রামারবাগ গ্রামের ৩০০ বানভাসির মধ্যে রান্না করা খাবার ও পানিবাহিত রোগের ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে। বন্ধুসভার সদস্যরা রান্না করা খাবার বন্যার্তদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দেন। খাবার খেয়ে খুশি বন্যার্তরা।

গৃহিণী শহীদা আক্তারের স্বামী অসুস্থ। ঘরের ভেতরে গলাসমান পানি। অন্যের বাড়িতে থাকেন। রান্না করা খাবার পেয়ে শহীদা আক্তার বলেন, ‘কুব বালো অইছে। কিতা হায়াম এই চিন্তায় মরি যাই। তোমডা কেমনে চিনলা আমডারে। খাওনডি ভালো অইছে।’

আরও পড়ুন

খাবার বিতরণের সময় প্রথম আলো পত্রিকার কুমিল্লার আঞ্চলিক বিক্রয় ব্যবস্থাপক মাসুদ রানা, কুমিল্লা বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কর্মকার, সহসভাপতি ফারিহা ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাসনিম তাবাসসুম, মাহির বিন নাঈম, অর্থসম্পাদক বশির আহম্মেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।