নাটোরে প্রবাসীর ইমো হ্যাক করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে চার তরুণ গ্রেপ্তার
সৌদিপ্রবাসীর ইমো আইডি হ্যাক করে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগে আরও চার তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার ভোরে নাটোরের লালপুর উপজেলার বীরোপাড়া ও বিলমাড়িয়া গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার তরুণেরা হলেন লালপুর উপজেলার বীরোপাড়া গ্রামের আরিফ হোসেন (২৪) ও বিজয় সরদার (২২) এবং বিলমাড়িয়া গ্রামের মোহন আলী (২৩) ও আল আমিন (২০)। এর আগে একই ঘটনায় র্যাব ২ মার্চ লালপুর থেকে পাঁচ তরুণকে গ্রেপ্তার করেছিল।
নাটোর র্যাব ক্যাম্প থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জের সালামত শেখের ছেলে জাকির হোসেন সৌদি আরবে চাকরি করেন। তাঁর ব্যবহৃত ইমো আইডি হ্যাক করে একটি প্রতারক চক্র গত ১৩ ফেব্রুয়ারি তাঁর স্ত্রীকে ফোন করে জানান, জাকির সৌদিতে বিপদে পড়েছেন। জরুরি ভিত্তিতে তাঁর টাকা দরকার। এ তথ্য পেয়ে জাকিরের স্ত্রী প্রতারকদের দেওয়া একটি বিকাশ নম্বরে ৫৫ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন। টাকা পাঠানোর পরই জাকিরের স্ত্রী বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
পরে জাকিরের স্ত্রী বিষয়টি ঢাকার উত্তর বাসাবোর বাসিন্দা তাঁর ভাই আবদুল মালেককে (৩৭) জানান। পরে আবদুল মালেক বাদী হয়ে এ ব্যাপারে ঢাকার সবুজবাগ থানা ও র্যাব কার্যালয়ে অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে র্যাব তদন্ত শুরু করে। তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব নাটোরের লালপুরে অপরাধীদের অবস্থান শনাক্ত করে। পরে আবদুল মালেক বাদী হয়ে লালপুর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। এর সূত্র ধরে নাটোর র্যাব ক্যাম্পের অধিনায়ক মো. ফরহাদ হোসেন ও উপ–অধিনায়ক রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে লালপুরের বীরোপাড়া ও বিলমাড়িয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে আজ ভোরে চার তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নাটোর র্যাব ক্যাম্পের অধিনায়ক মো. ফরহাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আজ দুপুরে আসামিদের লালপুর আমলি আদালতে হাজির করলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোসলেম উদ্দীন তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে গ্রেপ্তার আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে, তাঁরা জাকির হোসেনের ইমো আইডি হ্যাক করে টাকা আত্মসাৎ করার কথা স্বীকার করেন।