জুতার সোলে লুকানো ছিল ১০০ ভরি সোনা
জুতার সোলের ভেতর লুকিয়ে সোনার বার পাচারের সময় ফেনী থেকে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। তাঁর কাছ থেকে ১০টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফেনী সদরের খাইয়ারা বাজার এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তির নাম দ্বীজেন ধর (৩৯)। তিনি চট্টগ্রামের উত্তর কেউটিয়া এলাকার সুধাংশু বিমল ধরের ছেলে। তিনি নিজেকে স্বর্ণ ব্যবসায়ী দাবি করলেও সোনার বারের বিপরীতে বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আজ বেলা সাড়ে তিনটার দিকে এসব সোনার বার উদ্ধারের ঘটনায় নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফেনীর বোগদাদিয়া ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা জানতে পারেন, চট্টগ্রাম থেকে এক ব্যক্তি একটি বাসে করে বিশেষ কায়দায় বেশ কিছু মাদক ও চোরাচালানির অন্য সামগ্রী নিয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছেন। তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সদস্যরা ঢাকাগামী একটি বাস থামিয়ে তল্লাশি করেন। এ সময় দ্বীজেন ধরের জুতার ওজন দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। নিচে নামিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জুতার সোলের ভেতর সোনার বার লুকিয়ে রাখার কথা স্বীকার করেন। এরপর পুলিশ জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সেনাক্যাম্পে বিষয়টি অবহিত করে।
পুলিশ সুপার বলেন, খবর পেয়ে একজন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তাঁদের উপস্থিতিতেই ওই ব্যক্তির দুটি জুতার সোলের ভেতর থেকে ৫টি করে ১০টি সোনার বার পাওয়া যায়। পরিমাপ করে দেখা গেছে, উদ্ধার হওয়া সোনার ওজন ১ হাজার ১৬৬ গ্রাম, যা ১০০ ভরির সমান। এসব সোনার বারের আনুমানিক বাজারমূল্য ১ কোটি ২০ লাখ টাকা।
এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান পুলিশ সুপার। প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় তাঁর সঙ্গে ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) দীন মোহাম্মদ ও ফেনী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মর্ম সিংহ ত্রিপুরা উপস্থিত ছিলেন।