নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় ইজিবাইকচালক মো. গোলাম রাব্বানী (৫২) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, ইজিবাইকটি ছিনতাই করতে চালককে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার বকুল মিয়া গতকাল বুধবার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে এসব তথ্য জানান কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান।
গোলাম রব্বানী ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার গাবর কালিয়ান গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। অভিযুক্ত বকুল মিয়া নান্দাইল উপজেলার ঝাউগড়া গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার রাত ১০টার দিকে আঠারোবাড়ি-কেন্দুয়া সড়কের বড় কানিয়ান প্যানারমোড় এলাকায় যাত্রী ও চালকবিহীন একটি ইজিবাইক দেখতে পান এক মোটরসাইকেল আরোহী। এ সময় পাশের একটি ঝোপ থেকে গোঙানির আওয়াজ শুনতে পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দাকে বিষয়টি জানাতে যান। পরে লোকজন নিয়ে সেখানে গিয়ে ইজিবাইকটি আর খুঁজে পাননি। অন্যদিকে পাশের ঝোপে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রব্বানীর মরদেহ দেখতে পান তাঁরা। মরদেহের গলা, পেট, হাত-পাসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। পরে মরদেহটি শনাক্ত করেন রব্বানীর ভাগনে হুমায়ূন কবির। ধারণা করা হচ্ছে, রব্বানী যাত্রী নিয়ে কেন্দুয়ার দিকে যাচ্ছিলেন।
ঘটনার পরদিন হুমায়ূন কবির বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে কেন্দুয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গতকাল বকুল মিয়াকে নান্দাইলের আচারগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, আদালতে বকুল মিয়া বলেছেন যে ইজিবাইকটি ছিনতাই করতেই চালককে হত্যা করা হয়। এ কাজে তাঁর সঙ্গে আরও দুই যুবক জড়িত। তাঁদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।