মেহেরপুরে যুবদল নেতার গলাকাটা লাশ উদ্ধার
মেহেরপুরের গাংনীতে যুবদল নেতার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার সহড়াবাড়িয়া কামারখালী মাঠে তাঁর লাশ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।
নিহত আলমগীর হোসেন (৩৪) গাংনী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি ছিলেন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা থেকে তাঁকে পাওয়া যাচ্ছিল না। তিনি উপজেলার বাঁশাবড়ায়ী গ্রামের মইনুদ্দীন শেখের ছেলে। দুই মাস আগে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে দেশে ফিরে আসেন।
এ বিষয়ে আজ সকাল সাড়ে ১০টায় গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বানি ইসরাইল বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন এবং হতাকারীদের গ্রেপ্তারে মাঠে নেমেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে স্থানীয় কৃষকেরা জমিতে কাজ করতে যাচ্ছিলেন। সকাল ৯টার দিকে তাঁরা কামারখালি মাঠের মধ্যে একটি বাবলাগাছের সঙ্গে বাঁধা গলাকাটা লাশ দেখতে পান। লাশের দুই হাত বাঁধা ছিল। পরে তাঁরা মুঠোফোনে গাংনী থানা-পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
নিহত ব্যক্তির ভাই ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যা থেকে আলমগীরকে পাওয়া যাচ্ছিল না। বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি। গাংনী থানায় বিষয়টি জানাই। আজ সকালে থানা-পুলিশ লাশ উদ্ধারের বিষয়ে খবর দেয়।’
নিহত ব্যক্তির আরেক ভাই আলামিন হোসেন বলেন, দুই মাস আগে দুবাই থেকে দেশে ফিরে আসেন আলমগীর। দীর্ঘদিন স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের নির্যাতনের ভয়ে সে বিদেশে ছিল। দেশ স্বাধীন (জুলাই গণ–অভ্যুত্থান) হলে সে ফিরে আসে। হঠাৎ কারা তাঁকে হত্যা করল, তা তাঁরা বুঝতে পারছেন না।
গাংনী পৌর যুবদলের আহ্বায়ক সাহিদুল ইসলাম বলেন, আলমগীন হোসেন সংগঠনের জন্য একজন নিবেদিত কর্মী ছিলেন। এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে গেপ্তারের দাবি জানান তিনি।