কুতুবদিয়ায় সাংবাদিকের ওপর হামলা, ভাইসহ আওয়ামী লীগ নেতা কারাগারে
সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবর (৫৫) ও তাঁর ছোট ভাই মো. মুজাহিদুল ইসলাম ওরফে সেলিমকে (৪২) গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল রোববার দুপুরে পুলিশ তাঁদের আদালতে হাজির করলে আদালত কারাগারে পাঠান।
পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকা ও এশিয়ান টেলিভিশনের কুতুবদিয়া উপজেলা প্রতিনিধি মিজানুর রহমানের ওপর আওয়ামী লীগ নেতা আওরঙ্গজেব মাতবর ও তাঁর স্বজনেরা হামলা করেন। এ ঘটনায় শনিবার রাতেই কুতুবদিয়া থানায় মামলা করেন ওই সাংবাদিক। ওই মামলায় আওরঙ্গজেব মাতবরকে প্রধান আসামি করে নয়জনকে আসামি করা হয়। এরপর একই দিন রাত সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়নের নজর আলী মাতবরপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ আওরঙ্গজেব মাতবর ও তাঁর ভাইকে গ্রেপ্তার করে।
সাংবাদিক মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বুধবার সকালে কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবরসহ তাঁর পরিবারের সদস্যরা কৈয়ারবিল ইউনিয়নের মলমচর এলাকায় মোহাম্মদ মফিজ মাঝির বসতভিটার জায়গা দখল করতে যান। এ সময় ওই পরিবারের লোকজনকে তাঁরা প্রাণনাশের হুমকি দেন। ঘটনাটি কৌশলে ভিডিও করেন ওই পরিবারের একজন। ভিডিওটি তিনি পাওয়ার পর এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আওরঙ্গজেব মাতবরকে ফোন করেন। কথা বলার একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতা ক্ষিপ্ত হয়ে কল কেটে দেন।
মিজানুর রহমান অভিযোগ করেন, শুক্রবার বিকেলে কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সংবাদ সংগ্রহ করতে যান তিনি। সেখানে তাঁর ওপর হামলা চালান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ তাঁর আত্মীয়স্বজনেরা। এ সময় তাঁকে পিটিয়ে আহত করে তাঁর কাছ থেকে তাঁরা ক্যামেরা, মুঠোফোন, মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ ঘটনার পর শনিবার রাতে কুতুবদিয়া থানায় নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন আহত সাংবাদিক।
কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম কবির বলেন, শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবর ও তাঁর ভাই মো. মুজাহিদুল ইসলামকে তাঁদের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে। পরে গতকাল দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।