গলায় সোনার চেইন দেখে লোভ সামলাতে না পেরে নারীকে হত্যা: পুলিশ
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় বৃদ্ধ নারী ফজিলাতুন্নেছার বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধারের ঘটনায় রহস্য উদ্ঘাটন হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সোহাগ হাওলাদার (২৮) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশের দাবি, ওই নারীর গলায় সোনার চেইন দেখে লোভ সামলাতে না পেরে সোহাগ তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। গতকাল শুক্রবার রাত আটটার দিকে মাদারীপুর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম এ কথা বলেন।
গ্রেপ্তার সোহাগ হাওলাদারের বাড়ি শিবচর উপজেলার বৈকণ্ঠপুর গ্রামে। নিহত ফজিলাতুন্নেছা (৭০) একই এলাকার মৃত আবদুর রহমান আকনের স্ত্রী।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নগদ টাকার প্রয়োজনে আগে থেকে ওত পেতে থাকেন সোহাগ হাওলাদার। ওই বৃদ্ধ নারীর গলায় সোনার চেইন দেখে লোভ হয় তাঁর। পরে তাৎক্ষণিকভাবে ওই নারীকে শ্বাসরোধে হত্যার পরে বস্তাবন্দী লাশ রশি দিয়ে বেঁধে বাগানে ফেলে দেন সোহাগ। নিহত নারীর গলায় থাকা সোনার চেইন ও কানের দুল উদ্ধার করা হয়েছে। সোহাগ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১২ জানুয়ারি দুপুরে নিজ বাড়ি থেকে ছেলেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর জন্য পাশের ছোট কুতুবপুর বাজারে যান ফজিলাতুন্নেছা। এর পর থেকে তাঁর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে ২২ জানুয়ারি বিকেলে স্থানীয় কয়েকজন হোগলার মাঠে পাতা আনতে গেলে একটি বস্তার মুখ রশি বাঁধা দেখে সন্দেহ করেন। পরে থানা-পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় নিহত নারীর মেয়ে রেখা আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে শিবচর থানায় হত্যা মামলা করেন। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গত বৃহস্পতিবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা সোহাগ হাওলাদারকে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ওই নারীর মোবাইল ফোন, সোনার চেইন ও কানের দুল উদ্ধার করা হয়েছে। সোহাগকে গতকাল শুক্রবার দুপুরে আদালতে হাজির করা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।