রাজশাহীতে বিএনপি কার্যালয়ে ভাঙচুর ও ছাত্রদলের নেতাকে মারধরের ঘটনায় মামলা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব সামসুদ্দীন চৌধুরীর ওপর হামলা ও বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে সামসুদ্দীন বাদী হয়ে নগরের বোয়ালিয়া মডেল থানায় মামলা করেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরের মালোপাড়ায় বিএনপির মহানগর কার্যালয়ে তিনি হামলার শিকার হন। ওই সময় বিএনপির কার্যালয়ের আসবাব ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
মামলায় আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন—মেহেদী হাসান (২৮), আবদুল লতিফ সম্রাট (২৬), হাসিবুল হাসান হাসিব (২৫), মো. আহসান হাবীব (২৭), মো. নাইম (২৬), তুষার শেখ (২৭), শফিকুল ইসলাম ওরফে শফিক (২৮) ও তাকবীর আহমেদ ওরফে ইমন (২৪)। আসামিদের অধিকাংশ ছাত্রদলের রাবি শাখার আহ্বায়ক কমিটির বহিষ্কৃত সদস্য বলে দাবি করছেন সামসুদ্দীন। এ ছাড়া মামলায় আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজশাহী নগরের মালোপাড়ায় বিএনপি কার্যালয়ে ছাত্রদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রস্তুতি সভা চলছিল। এ সময় পূর্বশত্রুতার জেরে অভিযুক্ত ৮ জনসহ ১০ থেকে ১৫ জন সামসুদ্দীনের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীদের এলোপাতাড়ি মারধর ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সামসুদ্দীনের পিঠে ও মাথায় গুরুতর জখম হয়। একপর্যায়ে হামলাকারীরা কার্যালয়ের ভেতরের চেয়ার, টেবিলসহ বিভিন্ন আসবাব ভেঙে ফেলে। এ ঘটনার পর তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
ছাত্রদল নেতা সামসুদ্দীন বলেন, সংগঠনের দুষ্কৃতকারীরাই তাঁর ওপর হামলা করেছে। হামলাকারীরা একসময় আহ্বায়ক কমিটিতে ছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ থাকায় কেন্দ্র থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ কারণে বহিষ্কৃতরা তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ বলেন, এ ঘটনায় তাঁরা আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছেন। বহিষ্কৃত নেতারা অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়েছেন। তাঁরা দলীয় কার্যালয়ও ভাঙচুর করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে মামলার এক নম্বর অভিযুক্ত মেহেদী হাসান বলেন, তাঁরাও ওইদিন প্রস্তুতি সভায় ছিলেন। সভার শুরুতে সদস্যসচিবের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে কিছুটা ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। তবে মারামারি বা কোনোকিছু ভাঙচুর করা হয়নি। তাঁরা মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ তুলে মামলা করেছে।
বহিষ্কারের বিষয়ে মেহেদী হাসান বলেন, তাঁরা সম্প্রতি সদস্যসচিবের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন। পরে বৃহস্পতিবার সদস্যসচিব অনাস্থা প্রকাশের কারণ জানতে চেয়ে বিভিন্নভাবে হুমকিও দেন তাঁদের। তবে তাঁরা বহিষ্কৃত নন বলে দাবি করেন। বহিষ্কারের বিষয়ে কোনো নোটিশও পাননি।
নগরের বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, বিএনপি কার্যালয়ে ভাঙচুর ও হামলার ঘটনায় গতকাল রাতে মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে তাঁরা ব্যবস্থা নেবেন।