মুঠোফোনে হত্যার হুমকির অভিযোগে আপন ছোট ভাই মো. শাহাদাত হোসেন এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান ওরফে বাদলের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি নিজে বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় ওই জিডি করেন।
শাহাদাত হোসেন ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাদের মির্জা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই।
শাহাদাত ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে কোম্পানীগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। হলফনামায় মামলার বিষয় উল্লেখ না করায় এবং আয়-ব্যয়ের সঠিক হিসাব না দেওয়ায় তাঁর প্রার্থিতা বাতিল হয়েছিল। পরে হাইকোর্টে রিট করে মঙ্গলবার প্রার্থিতা ফিরে পান তিনি। তবে এখনো প্রতীক বরাদ্দ পাননি। অন্যদিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান লড়ছেন দোয়াত কলম প্রতীকে।
শাহাদাত ও মিজানুরের বিরুদ্ধে জিডির বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রণব চৌধুরী। তিনি বলেন, অনলাইনে জিডিটি দাখিল করা হয়েছে। জিডিটি আদালতে উপস্থাপন করা হবে। আদালতের অনুমোদন সাপেক্ষে এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
আবদুল কাদের মির্জা জিডিতে উল্লেখ করেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী মিজানুর রহমানের অনুসারীরা কয়েক দিন ধরে মুঠোফোন নম্বরে কল করে তাঁকে (কাদের মির্জা) হত্যার হুমকি দিয়ে আসছেন। এ ছাড়া মিজানুর রহমান তাঁর (কাদের মির্জা) লোকজনকে হুমকি দিয়ে আতঙ্কের মধ্যে রেখে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছেন।
জিডিতে নিজ ভাইয়ের বিষয়ে কাদের মির্জার অভিযোগ, চেয়ারম্যান প্রার্থী পরিচয় দিয়ে শাহাদাত হোসেন নামের এক ব্যক্তি বসুরহাট পৌরসভার কাউন্সিলর মো. রাশেল এবং ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুই নেতাকে গালিগালাজ ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন। এমন অভিযোগের বিষয়ে শাহাদাত হোসেনের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলে সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, কাদের মির্জা ক্ষমতার অপব্যবহার করে কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন স্থানে সভা–সমাবেশ করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তাঁর সমর্থিত তিন প্রার্থীকে (চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম শরীফ এবং দুই ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী) ভোট না দিলে ভোটারদের কেন্দ্রে না যেতে হুমকি দিচ্ছেন। একই সঙ্গে তাঁর (মিজানুর) নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দিতে নির্দেশনা দিয়েছেন। এসব বিষয়ে কাদের মির্জার বিরুদ্ধে রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে অভিযোগ করায় তিনি পাল্টা কৌশল হিসেবে এই জিডি করেছেন।