বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রেন আটকে দিলেন কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেন ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট আটকে রাখেন। আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবদুল জব্বার মোড়সংলগ্ন রেললাইনেছবি: প্রথম আলো

সরকারি চাকরির কোটা বাতিলের আন্দোলনে এবার ট্রেন আটকে রেললাইনে অবস্থান নিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবদুল জব্বার মোড়সংলগ্ন রেললাইনে চলমান ট্রেন আটকে দেন তাঁরা। সেখানে ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট আটকে রাখার পর ট্রেন অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।

আজ দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কে আর মার্কেট এবং সেখান থেকে মুক্তমঞ্চ হয়ে আবদুল জব্বার মোড়ে যায়। এ সময় ঢাকা থেকে জামালপুরগামী জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি আবদুল জব্বার মোড়সংলগ্ন রেললাইনে আসতে থাকলে সেটি আটকে দেন শিক্ষার্থীরা। ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট পর বেলা ৩টা ১০ মিনিটে রেললাইন থেকে সরে যান তাঁরা।

অবরোধে অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শতাব্দী কর বলেন, ‘একটি দেশের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য কিছু পরিমাণ কোটা রাখা যেতে পারে। তবে কোটার নাম করে এখন দেশের লাখ লাখ স্নাতকধারীদের প্রতি যে বৈষম্য করা হচ্ছে, তা মেনে নেওয়া যায় না। চাকরির জন্য মেধাবীদের লড়াইকে সম্মান জানানোর জন্য হলেও কোটা বাতিল করতে হবে। কোটার পাশাপাশি আছে প্রশ্নফাঁস ও জালিয়াতি। সোনার বাংলায় মেধাবীদের জায়গা তাহলে কোথায়? অবিলম্বে এই কোটা–বৈষম্য বাতিল করে কোটাকে যৌক্তিক মাত্রায় নিয়ে আসতে হবে।’

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী আবদুল্লা আল মুন্না বলেন, ‘হাইকোর্ট যদি বৈষম্যমূলক এই কোটা বাতিলের রায় না দেন, তাহলে ছাত্রসমাজ পড়ার টেবিলে ফিরবে না। রাজপথে থেকে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’