রাঙ্গাবালীতে খালে ভেসে আসা বস্তুটি আসলে কি
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার মীরকান্দা গ্রামের ভাঙা খালে ভেসে আসা অস্ত্রসদৃশ বস্তুটি সরেজমিনে গিয়ে দেখেছে নৌবাহিনীর পায়রা বন্দরসংলগ্ন বানৌজা শেরেবাংলা নৌঘাঁটির একটি দল। ভেসে আসা টর্পেডোটি একটি ‘প্র্যাকটিস ডামি টর্পেডো’ বলে তাঁরা জানিয়েছেন। এটি নিয়ে ভয়ের কিছু নেই।
বানৌজা শেরেবাংলা নৌঘাঁটির সাব লেফটেন্যান্ট আবদুল আলিমের বরাত দিয়ে রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন। আগামীকাল সোমবার সকালে টর্পেডোটি উদ্ধার করে শেরেবাংলা নৌঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হবে।
আজ রোববার সকালে উপজেলার মৌডুবি ইউনিয়নের মীরকান্দা গ্রামসংলগ্ন ভাঙা খালে বস্তুটিকে ভাসতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ভাসমান বস্তুটি দেখতে ভিড় করেন গ্রামবাসী। বস্তুটি দেখতে অনেকটা টর্পেডোর মতো।
টর্পেডো হলো একধরনের ক্ষেপণাস্ত্র, যা পানির নিচ দিয়ে বিস্ফোরক বহন করে লক্ষ্যবস্তুর সংস্পর্শে বা কাছাকাছি আসার পর বিস্ফোরিত হতে পারে। এটি সাধারণত সাবমেরিন ধ্বংসে ব্যবহার হয়। পরে রাঙ্গাবালী থানা-পুলিশ বস্তুটির ছবি তুলে কোস্টগার্ডকে পাঠায়।
নৌবাহিনীর কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ওসি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, খালে ভেসে আসা টর্পেডোটি একটি প্র্যাকটিস ডামি টর্পেডো। সাবমেরিন ধ্বংসের কাজে যে মূল টর্পেডো ব্যবহার করা হয়, এটা তার ডামি। এটি নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। কাল সকালে এটি শেরেবাংলা নৌঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হবে। পরে এটির বিষয়ে অধিকতর তদন্ত করা হবে। তবে এটি কোন দেশের এখনই বলা যাচ্ছে না। রাতে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশের যৌথ পাহারায় থাকবে বস্তুটি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে বস্তুটি ভেসে ভেসে মৌডুবির মীরকান্দা খালের ভেতর চলে আসে। কাছ থেকে বস্তুটি দেখে লোকজন ভারী অস্ত্র মনে করে দূরত্ব বজায় রাখেন।
মীরকান্দা গ্রামের আরাফাত হোসেন বলেন, ‘ভেসে আসা বস্তুটির কাছে গিয়ে দেখার পর মনে হয়, এটি কোনো ভারী অস্ত্র। দৈর্ঘ্য ২০ থেকে ২৫ ফুট হবে। পার্শ্ববর্তী রাবনাবাদ চ্যানেল হয়ে হয়তো এটি ভাসতে ভাসতে এই খালে এসেছে।’