রামগড়ে একই স্থানে বিএনপি ও ছাত্রলীগের কর্মসূচি, ১৪৪ ধারা জারি
খাগড়াছড়ির রামগড়ে বিএনপি ও ছাত্রলীগ একই স্থানে কর্মসূচি দেওয়ায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন। গতকাল রোববার রাতে রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত বলেন, আজ সোমবার সকালে রামগড় সরকারি উচ্চবিদ্যালয়-সংলগ্ন স্মৃতিসৌধের সামনে উপজেলা বিএনপি কর্মসূচি পালনের অনুমতি চেয়ে উপজেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছিল। অন্যদিকে উপজেলা ছাত্রলীগও শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষে কর্মসূচি পালনের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিল। তবে কোনো পক্ষকে কর্মসূচি পালনের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়নি। এমন অবস্থায় বিনা অনুমতিতে সমাবেশ পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল দুই দল। এতে জনসাধারণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় আজ সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত রামগড় পৌরসভা মাস্টারপাড়া থেকে রামগড় পৌর ভবন পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
এদিকে রামগড়ে বিএনপি নেতাদের বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রাতে রামগড় পৌর বিএনপির সভাপতি জসিম উদ্দিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাফায়েত মোর্শেদ ভূঁইয়ার বাসভবন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আলা উদ্দিনের বড় ভাইয়ের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান শাহীন লাইব্রেরিসহ বিএনপি নেতা-কর্মীদের বেশ কয়েকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হামলা ও ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
এ ছাড়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শহীদুল ইসলামের বাড়িতেও হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শহীদুল বলেন, সোমবারের কর্মসূচি সফল করতে গতকাল রাতে তাঁর বাড়ির পাশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রস্তুতি সভা চলছিল। এ সময় উপজেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা অতর্কিতে হামলায় চালান। পরে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁর বাড়িতেও ভাঙচুর করেন।
তবে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা কারও ওপর হামলা করেননি। উপজেলা বিএনপির মধ্যে দুটি গ্রুপ আছে। তারা নিজেদের মধ্যে মারামারি করে আওয়ামী লীগের ওপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে।
রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, আজ সকাল থেকে রামগড় উপজেলার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ১৪৪ ধারার আওতাধীন এলাকায় প্রয়োজনীয়সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।