গাজীপুরে গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা মিনারুল মারা গেছেন
গাজীপুর মহানগরী বোর্ডবাজারের মুক্তারবাড়ি এলাকায় গত রোববার রাতে ঘরে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা মো. মিনারুল ইসলাম (৩৫) মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
আজ গাজীপুরের গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইব্রাহীম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এর আগে গত সোমবার বিকেলে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর বাবা ফরমান আলী (৭৫) মৃত্যুবরণ করেন।
গাছা থানার ওসি ইব্রাহীম হোসেন চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বলেন, ফরমান আলীকে ৯৫ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তাঁর ছেলে মিনারুল ইসলামের শরীরও ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়। তিনি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রতে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ ছাড়া আহত গ্যাস মিস্ত্রি শফিকুল ইসলাম (৩৪) ও মিনারুলের মা খাদিজা বেগমের (৬৫) অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তাঁদের চিকিৎসা চলছে।
থানা-পুলিশ জানায়, গাজীপুরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার মিনারুল ইসলাম মহানগরীর বোর্ডবাজার মুক্তারবাড়ি এলাকার জমির উদ্দিন রোডে তাঁর স্ত্রী-সন্তান ও মা–বাবাকে নিয়ে বসবাস করেন।
গত রোববার বিকেলে তাঁদের বাড়ির রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের গ্যাস শেষ হয়ে যায়। পরে স্থানীয় বাজার থেকে তাঁরা একটি গ্যাস ভরা সিলিন্ডার কিনে নিয়ে আসেন। সিলিন্ডারটি চুলার সঙ্গে লাগানোর পরও গ্যাস জ্বলছিল না। পরে সিলিন্ডারের দোকান থেকে একটি মিস্ত্রি নিয়ে এসে সেটি মেরামত করে। মেরামত শেষে চুলা জ্বালাতে গেলে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে রান্না ঘরে থাকা খাদিজা, পাশের কক্ষে থাকা মিনারুল ও তাঁর পিতা ফরমান মণ্ডল অগ্নিদগ্ধ হন। তাঁর স্ত্রী ও সন্তান পাশের অন্য একটি কক্ষে থাকায় রক্ষা পান। বিস্ফোরণে ঘরের দরজা–জানালা ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। পরে আশপাশের লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করেন।