আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থানের অভিযোগে ময়মনসিংহ মেডিকেলের ১৩ শিক্ষার্থীর ইন্টার্ন স্থগিত

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালফাইল ছবি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান নেওয়ার অভিযোগে ১৩ শিক্ষার্থীর ইন্টার্ন প্রশিক্ষণ স্থগিত করেছে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে হাসপাতালের ডিসিপ্লিনারি কমিটি এক জরুরি সভায় আজ বুধবার এ সিদ্ধান্ত নেয়।

ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভাপতি ও হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম ফেরদৌস স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাধারণ শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৩ জনের ইন্টার্ন প্রশিক্ষণ সাময়িক স্থগিত করা হলো। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের ইন্টার্ন প্রশিক্ষণ সাময়িক স্থগিত থাকবে। একই সঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে সশরীর হাজির হয়ে অভিযোগের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হলো।

অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান গ্রহণ, আন্দোলন বানচালের উদ্দেশ্যে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকদের হুমকি প্রদান, ভয়ভীতি প্রদর্শন, বিগত স্বৈরাচারী সরকারের অপরাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে সাধারণ শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, ক্যাম্পাস ও তৎসংলগ্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, হোস্টেলে মাদক–বাণিজ্য ও মাদক সেবন ইত্যাদি অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।

এর আগে আজ বেলা ১১টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন করা কিছু শিক্ষার্থী অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের শাস্তি দাবি করে হাসপাতালের পরিচালকের কাছে যান। এ সময় অভিযুক্তসহ ছাত্রলীগ–সমর্থিত অপর একটি দল সেখানে উপস্থিত হয়ে হট্টগোল শুরু করে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার খবর পেয়ে সেনাসদস্য, র‍্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মাইনউদ্দিন খান বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন। ডিসিপ্লিনারি কমিটি তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করার পর ইন্টার্ন সাময়িক স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়। আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে উপযুক্ত ব্যাখ্যা না পাওয়া গেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।