খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য ও সহ–উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক মিহির রঞ্জন হালদার ও সহ–উপাচার্য অধ্যাপক সোবহান মিয়ার পদত্যাগ দাবি করেছে কুয়েট শিক্ষক সমিতি। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সব ধরনের রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
এদিকে উপাচার্য, সহ–উপাচার্যের আজকের মধ্যে পদত্যাগের দাবিতে আজ রোববার দুপুরে ক্যাম্পাসে র্যালি ও প্রতিবাদ সভা করেছেন ‘সাধারণ শিক্ষকবৃন্দ’। আর চার দফা দাবিতে আজ বিকেলে প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করার ঘোষণা দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
গতকাল শনিবার শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সভা হয়। আজ সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর করা শিক্ষক সমিতির সভার কার্যবিবরণী সূত্রে জানা গেছে, সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে উপাচার্য, সহ–উপাচার্যের পদত্যাগসহ শিক্ষার্থীদের সব যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে দ্রুত শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সব ধরনের রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত করার দাবির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক যেন শারীরিক বা মানসিকভাবে হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়ে প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবদুল হাসিব আজ রোববার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজ বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সভা আছে। সেখানে অনেক বিষয় পরিষ্কার হবে। আমাদের প্রধান দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সব ধরনের রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা।’
এদিকে আজ বেলা ১১টার দিকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা হত্যাকারী ও ফ্যাসিজমের সমার্থক এবং কলুষিত রাজনীতির পৃষ্ঠপোষক ভিসি ও প্রো-ভিসির পদত্যাগ চাই’ দাবি জানিয়ে সাধারণ শিক্ষকদের ব্যানারে একটি র্যালি বের করা হয়। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রতিবাদ সভার মাধ্যমে শেষ হয়।
সভায় বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আফতাব হোসেন, অধ্যাপক এম এম হাশেম, অধ্যাপক শাহজাহান, অধ্যাপক রাজিয়া খাতুন, অধ্যাপক সাইদুল ইসলাম, অধ্যাপক হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘আমাদের উপাচার্য ও সহ–উপাচার্য ফ্যাসিবাদের সমর্থক ছিলেন। ছাত্র নির্যাতনকারীদের পক্ষে ছিলেন। আজ তাঁরা ক্যাম্পাসে নেই; পলাতক। একাডেমিক কার্যক্রম চালু করার জন্য আমরা উন্মুখ হয়ে বসে আছি। আমরা চাই অবিলম্বে উপাচার্য ও সহ–উপাচার্য পদত্যাগ করুন। আজকের মধ্যে তাঁরা পদত্যাগ না করলে ক্যাম্পাসে তাঁরা অবাঞ্ছিত হবেন।’