ধর্ষণ মামলায় দুই চীনা নাগরিক শাহজালাল বিমানবন্দরে আটকের পর কারাগারে
বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে চীনে যাওয়ার সময় ধর্ষণ মামলার আসামি দুই চীনা নাগরিককে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটক করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। আজ বুধবার বিকেলে তাঁদের ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের আদালত পরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ওই দুই চীনা নাগরিকের নাম ওয়াং চাও ইয়াং (২৮) ও ইয়াং জিং (৪২)। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তাঁদের আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরের কাশিমপুর থানাধীন মোজার মিল এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থেকে ব্যবসা করতেন চীনের তিন নাগরিক ওয়াং চাও ইয়াং, ওয়াং জাওফিং ও ইয়াং জিং। চুল দিয়ে বিভিন্ন সামগ্রী তৈরির কারখানা রয়েছে তাঁদের। ওই বাড়ির পাশে ভাড়া থাকেন ঢাকার আশুলিয়া থানা এলাকার ৪০ বছর বয়সী এক নারী। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর গত জুলাইয়ে ওই নারীর সঙ্গে চীনের নাগরিক ওয়াং চাও ইয়াংয়ের বিয়ে হয়। মাসখানেক পর গত ২৩ আগস্ট রাতে স্বামীর সহায়তায় অন্য দুজন তাঁকে ধর্ষণ করেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই তিনজনের বিরুদ্ধে ২৭ আগস্ট থানায় মামলা করেন ওই নারী। ঘটনার পর থেকে তাঁরা পলাতক ছিলেন।
মঙ্গলবার দুপুরে পালিয়ে চীনের উদ্দেশে দেশত্যাগ করার সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ ওয়াং চাও ইয়াং ও ইয়াং জিংকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করে। রাতেই তাঁদের কাশিমপুর থানা–পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ইমিগ্রেশন পুলিশ দুই চীনা নাগরিককে আটকের পর তাঁদের কাছে হস্তান্তর করে। পরে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়। আদালতের বিচারক তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।