বরিশালে ডেঙ্গুতে এক নারীসহ দুজনের মৃত্যু

মৃত্যুপ্রতীকী ছবি

বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গুতে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল আটটা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল আটটা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় এই দুজনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে বিভাগে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৪৭ জনের মৃত্যু হলো। মারা যাওয়া এই ৪৭ জনের মধ্যে নারী ২১ জন ও পুরুষ ২৬ জন।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৮০ জন। এ নিয়ে বিভাগে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৬ হাজার ৬৬৮। তাঁদের মধ্যে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ৩০৭ জন।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার হেলেনা বেগম (৫১) নামের এক নারী। একই সময়ে ভোলা জেনারেল হাসপাতালে মারা যান মোশারফ হোসেন (৩৫) নামের অপর এক ব্যক্তি। তিনি ভোলা সদরের উত্তর দিঘলদী এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল বিভাগের হাসপাতালগুলোয় ৬ হাজার ৬৬৮ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬ হাজার ৩১৪ জন।

মৃত্যু ও আক্রান্তের সিংহভাগ বরিশাল-বরগুনায়

বিভাগে মারা যাওয়া ৪৭ জনের মধ্যে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সর্বোচ্চ ৩৬ জনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া পিরোজপুরে ৩ জন, বরগুনায় ৩, ভোলায় ৩ ও পটুয়াখালীতে ২ জন মারা যান।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা যায়, মারা যাওয়া এই ৪৭ জনের মধ্যে নারী ২১ জন ও পুরুষ ২৬ জন। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে বরিশালের ১৬ জন ও বরগুনার ১৫ জন বাসিন্দা ছিলেন। এ ছাড়া পটুয়াখালীর ৮ জন, পিরোজপুরের ৫ ও ভোলার ৩ জন মারা যান। তবে ঝালকাঠিতে এখনো কেউ মারা যায়নি।

এদিকে বিভাগে চলতি বছর মোট আক্রান্তের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরিশালে ১ হাজার ৯৬৭ জন, বরগুনায় ১ হাজার ৯০২, পটুয়াখালীতে ১ হাজার ১২৬ ও ভোলায় ৬৪৮ জন এবং ঝালকাঠিতে সবচেয়ে কম মাত্র ১৮৭ জন।

জানতে চাইলে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল আজ প্রথম আলোকে বলেন, এবার বরগুনায় ডেঙ্গুর প্রকোপ ভয়াবহ। বিভাগের হটস্পট হিসেবে বরগুনাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই জেলায় এরই মধ্যে কয়েকটি এলাকা থেকে সংগ্রহ করা নমুনায় ডেঙ্গুর জীবাণু বহনকারী এডিস মশার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।