চলন্ত বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণ মামলার তিন আসামি জবানবন্দি দিতে আদালতে
কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা ঈগল পরিবহনের বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া জন্য আদালতে নেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ওই তিনজনকে টাঙ্গাইল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেওয়া হয়। টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক তানবীর আহম্মদ বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।
তিন আসামি হলেন রাজা মিয়া (৩২), আবদুল আওয়াল (৩০) ও নুরনবী (২৬)। এর মধ্যে রাজা মিয়াকে গত বৃহস্পতিবার ভোরে টাঙ্গাইল শহরের দেওলা এলাকার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আবদুল আওয়াল ও নুরনবীকে গতকাল শুক্রবার সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
রাজা মিয়াকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে তিন আসামি বাস ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁরা ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনার পুরো বিবরণ এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তাঁরা আদালতে জবানবন্দি দিতেও সম্মতি প্রকাশ করেন। পরে তাঁদের জবানবন্দি নেওয়ার জন্য আদালতে হাজির করা হয়েছে।
টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক তানবীর আহম্মদ বলেন, আসামিদের আদালতে আনা হয়েছে। জবানবন্দি গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামছুল আলম ও রুমি খাতুন আসামিদের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করবেন।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে ঈগল পরিবহনের বাসটি নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জের একটি খাবার হোটেলে যাত্রাবিরতি নেয়। সেখান থেকে যাত্রা শুরুর পর তিন দফায় যাত্রীবেশী ১০-১২ জন ডাকাত বাসে ওঠে।
বাসটি টাঙ্গাইল অতিক্রম করার সময় ডাকাতেরা অস্ত্রের মুখে চালককে জিম্মি করে বাসটি তাদের নিয়ন্ত্রণে নেয়। এরপর তারা যাত্রীদের হাত, পা, চোখ বেঁধে তাঁদের কাছে থাকা টাকা, মুঠোফোন ও অলংকার লুট করে নেয়। এ সময় বাসে থাকা এক নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়।